গোপাল সিং, খোয়াই, ০৯ সেপ্টেম্বর || চাকমা ভাষার বিকাশ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ত্রিপুরা সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রতিবছর ৭ই আগস্ট চাকমা লিপি ও ভাষা দিবস পালন।
বিদ্যুৎ ও কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী তথা চাকমা ভাষা উন্নয়ন পরামর্শদাতা কমিটির প্রধান রতনলাল নাথ জানান, সরকার ধারাবাহিকভাবে চাকমা ভাষাকে শক্তিশালী ও টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, “এই লক্ষ্যে সাতটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। গুগল ট্রান্সলেশনে চাকমা ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শব্দভাণ্ডার সংগ্রহ চলছে এবং ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০,০০০ শব্দ নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতীয় সেমিনার আয়োজন করা হবে।”
মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে ত্রিপুরার ১২৩টি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চাকমা ভাষা পড়ানো হচ্ছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যে চাকমা জনসংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার, যদিও বেসরকারি অনুমান অনুযায়ী বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১.২৫ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। রতনলাল নাথ বলেন, “ত্রিপুরায় মোট আটটি সংখ্যালঘু ভাষা গোষ্ঠী রয়েছে। এদের বিকাশ নিশ্চিত করতে সরকার ‘ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিদপ্তর’ গঠন করেছে। যেমন ১৯ জানুয়ারি ককবরক দিবস পালন করা হয়, তেমনি প্রতিবছর ৭ই আগস্ট চাকমা লিপি ও ভাষা দিবস পালিত হবে।” সভায় পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান শম্ভুলাল চাকমা সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।