অসচেতনতার দূষন বুকে বয়ে চলছে খোয়াইয়ের গঙ্গা ছড়া

dst dst-jpg1গোপাল সিং, খোয়াই, ২৩ ডিসেম্বর ৷৷ খোয়াই রাম তেরী গঙ্গা মেইলি হো গেয়ি। পৌর সভার আবর্জনা বইতে বইতে জাম্বুরা থেকে শুরু করে গনকী, সুভাষপার্ক, চরগনকী হয়ে লালছড়ায় মিলিত ছড়াটির নাম ছিল গঙ্গাছড়া। ৫০ইং সন থেকে ৭০ইং সন অবধি এই ছড়ার জলে স্নান এবং পাণীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হতো। গঙ্গাছড়ার টেংরা মাছ ছিল বিখ্যাত। ছোট মাছ (গুড়া মাছ) পাওয়া যেত প্রচুর পরিমানে। বর্তমানেও টেংরা মাছ আছে। কিন্তু বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক টয়লেটের আউটলাইন রয়েছে এই ছড়াতেই। রয়েছে সরকারী শৌচালয়ের আউটলাইনও। তাছাড়া সুভাষপার্ক বাজার ব্যবসায়ীরা বাজারের সমস্ত আবর্জনা, পঁচা মাছ-মাংস, মুরগী, সবজী সহ নানান ময়লা-আবর্জনা বহন করে চলছে এই গঙ্গাছড়া। গঙ্গাছড়ার ইতিকথা নিয়ে আগেও জাগরন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তথ্যমুলক সংবাদ। তারপর স্বচ্ছ ভারত অভিযান বা পৌর সভার অরাজকতা এবং একাংশ জনগনের দাম্ভিকতা, অসচেতনতা, সব মিলিয়ে শুধু গঙ্গাছড়াই নয়, খোয়াই শহরের যত উপ-ছড়াগুলো রয়েছে সবগুলোই আজ নুংরা-পুতিময় অবস্থায় রয়েছে।
‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে-বাঁকে…’। কিন্তু আজকাল ছোট নদী তার নিজস্ব পরিচয় হারিয়ে ফেলছে শহরের আবর্জনা বইতে বইতে। নুংরা নর্দমার চাইতে খারাপ অবস্থায় ছোট নদী বা উপ-ছড়াগুলি। বেশীরভাগ ছড়াগুলোর দূষনের জন্য দায়ী কিছুটা জনগন এবং বেশীরভাগ পৌরসভা। দিনের পর দিন মাটি ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে বা এখনও নিচ্ছে। কোন হেলদোল নেই পরিবেশ দূষন ও নিয়ন্ত্রন পরিষদের। সরকারী ছড়ার ক্ষেত্রে আবার উনারাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে জ্ঞান বিতরন করেন। অথচ জনগনের অভিমত পৌরসভা যদি একটু হৃদয়বান হয় এবং সৎ মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসে তবেই রাহুমুক্ত করা যায় খোয়াই শহরের বিভিন্ন উপ-ছড়াগুলোকে। হয়তো তাতে কিছু সমাজ কলুসিতদের স্বার্থে আঘাত আসবে। তবুও বৃহদ অর্থে জনগনের স্বার্থে এবং সমাজের জন্য যদি পৌরসভা এই উদ্যোগ নেয় তবে দুষনমুক্ত হয়ে উঠকে উপ-ছড়াগুলো। কিন্তু কর্মময় জীবনে সেজেগুছে অফিসে না বসে থেকে এলাকার প্রতিনিধি এবং জনগনকে নিয়ে অবিলম্বে উপ-ছড়াগুলোকে দূষনমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জনগন।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*