গোপাল সিং, খোয়াই, ২৫ ডিসেম্বর ৷৷ খোয়াই সুভাষপার্ক এলাকা। শহরের প্রাণকেন্দ্র। সবচাইতে ব্যস্ততম এলাকায় কোহিনুর কমপ্লেক্সের দোকানীরা সহ পথ চলতি মানুষজন বড্ড মহাবিপদে। এর মুল কারন খোয়াই ট্রাফিক ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থা। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেও কোন প্রকার প্রতিকার নেই। শুধু কিছু ট্রাফিক নিয়মনীতির সাইনবোর্ড লাগিয়ে দায়িত্ব খালাস। যেখানে টু-হুইলার পার্কিং করার কথা সেখানে ফোর-হুইলার দাঁড়িয়ে আছে ঘন্টার পর ঘন্টা। যার দরুন ব্যবসার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পথ চলতি মানুষজনেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে কোহিনুর কমপ্লেক্সের দোকানীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তারপর রয়েছে বছরে তিনশ দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি। যার ফলে মুল ফাটক সবসময় আটকে থাকে। প্রবেশ পথ এবং দুই প্রান্তে গাড়ী, বাইক, বাইসাইকেল আটকে পড়ছে। এরপর রয়েছে হেন্ডিং, কোরাক্স, টেবলেট ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ব। সব মিলিয়ে নাজেহাল কোহিনুর কমপ্লেক্সের দোকানীরা। সুভাষপার্ক আউটপোষ্টে ডেপুটেশন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার নেই। কোহিনুর কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কিছু দোকানী দোকানের জিনিষপত্র বারান্দায় রেখে জনগনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন। অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দোকান খুলে বসেছেন। ব্যবস্থা থাকলেও তালাবন্দি শৌচালয়। যার ফলে দ্বিতলেই সেরে নিচ্ছেন শৌচকাজ। স্বভাবতই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই নেই। কমপ্লেক্সের দোকানীদের মধ্যে পান ব্যবসায়ীরা পান বিক্রি করলেও পিকদানির ব্যবস্থা না রাখায় কোহিনুর চত্বর নুংরা হচ্ছে। যদিও এজন্য দোকানীরা যতটুকু দায়ি ততটাই দায়ী অসচেতন জনসাধারনও। সেই সাথে পৌর সভার নজরদারীর অভাবও অনেকটাই দায়ী। অথচ পৌর সভার অধীনে থেকে মাসে মাসে ভাড়া আদায় ছাড়া কোন সুনজর নেই। এনিয়ে কোহিনুর কমপ্লেক্সের দোকানী এবং জনগন এর দাবি পৌরসভা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা যেন একটু সক্রিয় হয়ে ব্যবসার সুযোগ করে দেন।