বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১৫ জানুয়ারী || পর্যটন দপ্তর রাজ্যের সবকয়টি পর্যটন কেন্দ্র ও লোকজনদের বিনোদনের জন্য ইকোপার্ককে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে কিছুসংখ্যক দপ্তরের কর্মীদের কারনে পর্যটন দপ্তরের প্রচেষ্টা বিফল হতে যাচ্ছে। শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত জোলাইবাড়ীর সাঁচীরামবাড়ী এলাকায় লোকজনদের বিনোদনের জন্য সরকারি অর্থ ব্যয় করে নির্মান করা হয়েছিল শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরা স্মৃতি ইকোপার্ক। এই পার্কটির নির্মানের পর কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও বর্তমানে বগাফা বনদপ্তরের ও কাকুলিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের খামখেয়ালি পনায় সমস্ত পার্কটি ধ্বংসের মুখে। এখন পিকনিকের মরসুমে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসু লোকজনেরা এই পার্কে পিকনিকের জন্য আসে। কিন্তু পার্কের পরিকাঠামো দেখে সকলে নিরাশ হয়ে ঘরে ফিয়ে যায়। পার্কে পিকনিক করতে আসা লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পিকনিক করার জন্য বনদপ্তরকে প্রতিগাড়ী পিছু ৪০০ টাকা করে দিতে হয়। লোকজনদের কাছ থেকে বনদপ্তর যে পরিমানে টাকা সংগ্রহ করছে তাদিয়ে লোকজনদের সঠিক পরিষেবা দিচ্ছেনা বনদপ্তর। এই পার্কে যারা পিকনিক করতে আসে তাদের পানীয় জলের বিশেষ অসুবিধার সন্মুখিন হতে হয়। রাজ্য সরকার অর্থ ব্যয় করে এই পার্কে আগত লোকজনদের জন্য অনেকগুলি জলের টেপ নির্মান করেছে যা বর্তমানে জঙ্গলে ও আবর্জনায় পরিপূর্ন হয়ে রয়েছে। এক কথায় বলা চলে বন দপ্তরের খামখেয়ালীপনায় এই পার্কটি ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে ও লোকজনের এই পার্কে আসার আগ্রহ কম দেখাচ্ছে। এই সমস্ত বিষয়ে জেলা বন আধিকারিক সঞ্জীব দাস, বগাফা বন আধিকারিক জয়নাল্য আচার্যি ও কাকুলিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জার শিবু দাস সবকিছু জেনেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। উনারা দিনের পর দিন নীরবে পার্কে আগত লোকজনদের পকেট কেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পার্কের এই দুর অবস্থা সম্পর্কে কাকুলিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জার শিবু দাসের নিকট জানতে চালইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে নারাজ।