আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর || ১৮ই সেপ্টেম্বর, সোমবার দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা পূজা। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পূজা পাঠ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেব শিল্পীর আরাধনা ব্রতি হয়েছেন আবাল বৃদ্ধ বণিতা। ঢাকের বাদ্য কাসর ঘন্টার শব্দে জমজমাট ছিল পুজো মন্ডপ গুলি। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে অনেকেই পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করলেন দেব শিল্পীর চরণে। কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের দোকান যানবাহন চালকরা এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেব শিল্পীর আরাধনা ব্রতী ছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় সকলেই বাড়ি থেকে পুজো দেখার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তিথি অনুযায়ী দেব শিল্পীর পুজো শারদ উৎসবের প্রথমে।
এদিকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) গনেশ চতুর্থী। তারও প্রস্তুতি চলছে সকাল থেকেই। এক পুজো শেষ না হতেই আরেক পূজো। একদিকে দেব শিল্পীর আরাধনা অন্যদিকে বাজারে মানুষের ভিড় গণেশ পূজোর আয়োজনের জন্য। দুই পুজো সামলাতে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৃৎ শিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নাওয়া খাওয়া ভুলে তারা এখন শেষ তুলির টান দিতে প্রস্তুত। বাজারে বাজারে গণেশের মূর্তি নিয়ে বসে গেছে দোকানিরা। তবে উৎসবের আনন্দে রং লাগল শরতের আকাশে। কাশফুলের দোলা এবং পুঞ্জিভূত নীল আকাশের মেঘ যা জানান দিচ্ছে শারদ উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে। সন্ধ্যা হতেই উৎসবের স্বাদ নিতে মানুষ বেরিয়ে পড়লেন শহরে। যানবাহন কিংবা পায়ে হেঁটে মূর্তি দেখার পাশাপাশি উৎসবের আনন্দ উপভোগ করলেন তাড়িয়ে তাড়িয়ে। মোবাইলের যুগে সেলফি তোলা থেকে শুরু করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো সবই ছিল উৎসবের আয়োজন। বিভিন্ন জায়গায় প্রসাদ বিতরণ এবং ঢাকের তালে ধনুচির নিত্য আজও পুরনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। বাদ যায়নি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও জওয়ানদের দেব শিল্পীর আরাধনা থেকে।
এদিন ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টি এস আর) দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগেও আর কে নগরে কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্র পূজো করেন। দিনভর আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিনটি পালন করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা। সব মিলিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য।