জাতীয় ডেস্ক ।। জবাব আসার ভরসা ছিল না। তাও আশা না ছেড়ে চিকিৎসায় সাহায্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখল হৃদ্যন্ত্রের রোগে আক্রান্ত আট বছরের তাইবা। সুন্দর পৃথিবীতে তাইবাও বাঁচতে চেয়েছিল। যখন দেখলো আর কোন উপায় নেই তখন তাইবা বাধ্য হয়ে আবেকঘন আকুতি নিয়ে চোখের জল মেশানো ভাঙা ভাঙা হাতের লেখায় চিঠি দিলেন মোদিকে। সেই চিঠি পেয়ে তাইবা জন্য হাত বাড়ালেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ওই চিঠির যে জবাব আসবে, তা ভাবতে পারেনি উত্তর প্রদেশের আগরার ওই পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দিল্লি সরকার সেখানকার একটি হাসপাতালকে শিশুটির চিকিৎসা শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। খরচের তোয়াক্কা না করে ভাল মানের চিকিৎসার কথাও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি।
তাইবাকে পরীক্ষা করে ডাক্তারেরা জানান, জন্ম থেকেই তার হদ্যন্ত্রের গঠন ঠিক নেই। ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। এর পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। সম্প্রতি তাইবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে আগরার চিকিৎসক এস কে কালরার কাছে নিয়ে যান বাবা মোহাম্মদ খালিদ। তাইবাকে দেখে কালরা জানান, এই রোগের চিকিৎসা আগরায় সম্ভব নয়। খরচও অনেক। সেই সময়েই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথা তাইবার মাথায় আসে।
তাইবার কথায়, ‘‘বাবা সব সময়েই চিন্তায় থাকে। টিভিতে দেখি প্রধানমন্ত্রী সকলকে সাহায্য করেন। আমিও তো বাঁচতে চাই। তাই চিঠি লিখেছিলাম।’’ তাইবার উদ্যোগে সায় দেন চিকিৎসক কালরাও। তার কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের প্রাণপুরুষ। মনে হয়েছিল তাইবাকে তিনি হয়তো সাহায্য করলেও করতে পারেন।’’ আগরার একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য নিয়েও তাইবার জন্য যথেষ্ট টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
দিল্লির হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, তাইবার রোগের চিকিৎসার খরচ প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা। তা ছাড়া, আগরায় থেকে ওই রোগের চিকিৎসাও সম্ভব ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও দিল্লি সরকারের উদ্যোগে ওই কিশোরীকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।