আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৭ মে || রাজ্যে শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ‘সাহর্ষ’ পাঠক্রম চালু করা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। বুধবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত ‘সাহর্ষ উৎসব ২০২৫’ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এনসিইআরটি এবং এসসিইআরটি’র যৌথ উদ্যোগে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সাহর্ষ পাঠক্রম ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হল শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের নির্ভরতা থেকে মুক্ত করে আনন্দঘন পরিবেশে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাহর্ষ শব্দের অর্থ আনন্দের সাথে শেখা। শিশুদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো, শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলা এই পাঠক্রমের অন্যতম লক্ষ্য। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-কে সামনে রেখে রাজ্যে এক থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য সাহর্ষ পাঠক্রম প্রণীত হয়েছে, যা ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, সাহর্ষ শুধু সাধারণ পাঠ্যক্রম নয়, এটি একটি আনন্দঘন ও মননশীল কার্যক্রম, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক, নির্ভীক, মানবিক, সহানুভূতিশীল ও সমাজসচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। ২০২৩ সাল থেকে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে এবং এটি রাজ্যে প্রথম।
ডঃ সাহা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিক্ষাক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শিশুদের শিক্ষার ভিত্তি মজবুত না হলে তারা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারাবে। শিক্ষাকে মনে আনন্দের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে তারা দেশ ও সমাজের জন্য নতুন চিন্তাধারা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের স্পেশাল সেক্রেটারি রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, শিক্ষা পরিচালক এন.সি. শর্মা, এসসিইআরটি পরিচালক এল. ডারলং, হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এডুকেশনের ইউনাইটেড নেশন্স ইয়ং লিডার ঋচা গুপ্তা সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।