বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৮ ডিসেম্বর || রাজ্য সরকার চাইছে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে। ২০১৮ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের পর কৃষকদের উন্নয়ন স্বার্থে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করা। গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জোলাইবাড়ী স্ট্যান্ডে সরকারি ভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ শুরু হয়। বৃক্ষে জল দিয়ে ধান ক্রয়ের কাজের শুভ সূচনা করেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। উদ্ভোধকের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক কে সি গুপ্তা, জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত বাম আমলে কৃষকদের কোনোপ্রকার সহায়তা করা হতো না। বাম আমলে কৃষকদের ধান উৎপাদন হলে বিশেষ তহবিলের নামে চাঁদা ও ধান সংগ্রহ করতো। বাম আমলে কৃষকদের দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত করতো। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে রাজ্যে পালাবদলের পর রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নয়ন স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের জন্য কৃষান সন্মাননিধী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকারি ভাবে ক্রয় করা হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নয়ন স্বার্থে বিভিন্ন প্রকারের কৃষিজ যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে। গত আগষ্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশিক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে। এই পরিমানে ক্ষতির পরেও কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষকরা পুনরায় ধান উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেছে।
জানা যায়, আগামী ৩রা জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে এই ধান ক্রয়ের কাজ। প্রতিকেজি ২৩ টাকা করে ধান ক্রয়ের কাজ চলছে। জোলাইবাড়ী বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ধান নিয়ে বিক্রি করার জন্য ভীর জমায়। এইভাবে সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।