সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ১১ মার্চ || ফের গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারে ফের গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারেহাত সাফাই করলো চোরের দল। এতে নিঃস্ব হয়ে গেলো মহকুমা সদর বাজারের এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারটিকে রাতে সুরক্ষিত রাখার জন্য বাজারের ব্যবসায়ী সকলের ঐক্যমতে বহু বছর পূর্বে থেকেই পালা করে রাতে বাজার পাহাড়া শুরু হয়ে আসছে। বাজারটি ধীরে ধীরে বড় হওয়ার কারণে বর্তমানে বাজার ব্যবসায়ীদের নিজস্ব নৈশ প্রহরীর সংখ্যা বাড়িয়ে বারো জন করা হয়েছে। তাছাড়াও রাতে বাজারের ১২ জন নৈশ প্রহরীর সঙ্গে থাকেন গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পাঁচ থেকে সাত জন পুলিশ এবং টি এস আর জওয়ান। কিন্তু প্রতি রাতে নৈশ প্রহরী এবং পুলিশ, টি এস আর জওয়ান থাকা সত্ত্বেও কেন গন্ডাছড়া মহকুমা বাজারটি দিনের পর দিন অসুরক্ষিত হয়ে পড়ছে? এনিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে
সাম্প্রতিক কালে গন্ডাছড়া বাজারে সপ্তাহে দুই একটি চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। চোরের দলের লাগাতর হাত সাফাই এর ফলে নিঃস্ব থেকে অতি নিঃস্ব হতে হচ্ছে একাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। প্রতি সপ্তাহের চুরিকান্ড ঘটনার সর্বশেষ চোরের দল চুরিকান্ডটি সংগঠিত করে রবিবার রাতের কোন এক সময়ে। গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারের তহশিল অফিস সংলগ্ন দ্বিতল বিল্ডিং এর পাশে হোটেল এবং টিফিন দোকানের মালিক রবি কুমার দাস জানান, অন্যান্য দিনের মতোই রবিবার রাত আমিমানিক সাড়ে নয়টায় দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান। সোমবার সকালে স্বামী স্ত্রী উভয়ে দোকানে আসে এবং দোকানে প্রবেশ করেই দু’জনেরই চক্কু চড়ক গাছ। দোকান মালিক ও তার স্ত্রী দেখতে পান দোকানের ক্যাশ বাক্সটি নেই। সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হয় বাজার কমিটিকে। জানানো হয় মহকুমা থানায়। বহু খোঁজাখুঁজি করে দেখা যায় ক্যাশ বাক্সটি ভাঙা অবস্থায় পাশের দ্বিতল স্টলের ছাদে পড়ে রয়েছে।দোকান মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী ক্যাশ বাক্সটি পাওয়া গেলেও বাক্সে থাকা নগদে নয় হাজার টাকা এবং রেশন কার্ডটি নেই। দোকান মালিকের অভিযোগ নগদ অর্থ এবং রেশন কার্ডটি হাতিয়ে নিয়েছে চোরের দল। এই চুরি কাণ্ডের ফলে আরো একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেলো। গন্ডাছড়া বাজারটি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলে অনেকের দাবী। বাজার ব্যবসায়ী কমিটিকে কঠোর মনোভাব নিয়ে সামনে এগুনো দরকার। অবশ্যই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে।