সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ১৮ মার্চ || গন্ডাছড়া মহকুমা সদর সংলগ্ন একশো মিটার লম্বা একটি রাস্তা এক বছরেও সম্পন্ন করতে পারলো না গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ উক্ত কাজের ইঞ্জিনিয়ার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে ব্লকটিলার এই রাস্তাটির বর্তমান এই পরিত্যাক্ত অবস্থা।
অভিযোগে জানা যায়, গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পাশ থেকে হরিপুর এডিসি ভিলেজের ব্লকটিলার প্রায় একশো মিটার রাস্তা, দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরিণত হয়ে পড়ে আছে। আমাদের প্রকাশিত সংবাদ এবং গ্রামবাসীদের চাপে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে এই একশো মিটার রাস্তার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। এই টেন্ডারে এই একশো মিটার রাস্তা মেটেলিং পিচ করার জন্য টেন্ডারটি পায় আমবাসার এক ঠিকেদার। ব্লকটিলার বাসিন্দাদের অভিযোগ গত এক বছর পূর্বে উক্ত ঠিকেদার সামান্য কিছু কাজ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এর কিছুদিন পর কাজের সাইটে আসেন ম্যানেজার পরিচয়ে এক ব্যক্তি। কাজের সাইটে আসা এই সাইট ম্যানেজারকে গন্ডাছড়া মহকুমায় সকলে ইট চোর হিসাবেই চেনেন। এই সাইট ম্যানেজার এখনো বহু মানুষকে ইট রড সিমেন্ট দেওয়ার কথা বলে বহু টাকা দেনায় রয়েছেন। ফলে এই সাইট ম্যানেজার গণ ধোলাইয়ের ভয়ে কাজের সাইটে যেতে পারছে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো গন্ডাছড়া মহকুমা সদর সংলগ্ন গন্ডাছড়া থানার পাশ থেকে ব্লকটিলার মাত্র একশো মিটার রাস্তা কেন এক বছরেও শেষ করতে পারলোনা পূর্ত দপ্তর? স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জাগে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাননি তো পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ পূর্ত দপ্তর কর্মকর্তারা। ব্লকটিলার এই একশো মিটার রাস্তা নিয়ে এবার পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সংশ্লিষ্ট গ্রামের মহিলারা। মহিলারা এক গুচ্ছ অভিযোগ এনে চরম হুশিয়ারী দিয়ে জানান, বর্ষার পূর্বেই রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে পূর্ত দপ্তরকে। নতুবা আন্দোলন হবে।