সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৩ মার্চ || খুলছে না দোকানপাট, চলছে না গাড়ী। বন্ধ হয়ে পড়েছে মহকুমার সমস্ত রাস্তাঘাট। মহকুমায় কর্মরত বার্তাজীবিদেরও কোন ছাড় দিচ্ছে না বনধ আহ্বানকারী ছাত্ররা। বার্তাজীবি বা সংবাদ কর্মী বা সাংবাদিকরা জড় না সজীব বস্তু সেই সম্বন্ধে মনে হয় বনধ আহ্বানকারী ছাত্ররা একেবারেই অজ্ঞ। যে ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনের দেশ গড়ার ভবিষ্যৎ সেই ছাত্রছাত্রীদের একাংশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অন্ধকার জগতে।
প্রসঙ্গত, রোমান হরফে স্ক্রিপ্টের দাবীতে রাজ্যের একটি ছাত্র সংগঠন টিএসএফ’র নেতৃত্ব এবং কর্মীরা শুক্রবার গোটা রাজ্যে সড়ক অবরোধ করে। যথারীতি শুক্রবার ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয় এই অবরোধে। গন্ডাছড়া মহকুমার সকল আমজনতা নিশ্চিন্তে ছিলেন। শনিবার সাতসকালে গন্ডাছড়া মহকুমাবাসী পথে নামতেই জানতে পারেন শনিবারও চলছে অবরোধ। তখন অনেকটা বেদিশা হয়ে পড়ে দিন মুজুর অংশের লোকজন। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় বাইক চলাচল। আটকে দেওয়া হয় গন্ডাছড়া মহকুমায় কর্মরত সাংবাদিকদের। বারবার পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও সংবাদ কর্মী বা সাংবাদিকরা কি ভূমিকা পালন করে থাকেন বা সাংবাদিকরা জর না সজীব বস্তু সেই ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতাই নেই সড়ক অবরোধ আহ্বানকারী ছাত্রদের। এরমধ্যেও শনিবার সাতসকাল থেকেই গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন পথঘাট এবং রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে পথ অবরোধ সৃষ্টি করে অবরোধকারীরা। মহকুমা সদর বাজারে খুলেনি কোন দোকানপাট, পথে নামেনি কোন ছোট বড় যান। শুক্রবার এবং শনিবার গন্ডাছড়া মহকুমা ছিল একেবারেই স্তব্ধ। টানা অবরোধে দিশাহীন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী সহ সাধারণ লোকজন এবং যান চালকরা। তবে শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও গন্ডাছড়া বিভিন্ন সড়ক থেকে অবরোধকারীরা অবরোধ স্থল থেকে চলে গিয়েছে। জানা যায়, আগামী সোমবার তারা আগরতলা রাজধানীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে আবার।