বিশ্বশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৩ মার্চ || বর্তমান সময়ে নেশার করালগ্রাসে আশক্ত হয়ে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। নেশামুক্ত সমাজ গঠনে রাজ্য সরকার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করলেও কিছু সংখ্যক পুলিশবাবুদের জন্য রাজ্য সরকারের উদ্দ্যেশ্য সাফল্যমন্ডীত হচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে।
শান্তিরবাজার মহকুমার রাজাপুর ভিলেজ এলাকায় বিগতদিনে প্রমান সহ এক নেশাকারবারিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলো রাজাপুর ভিলেজ এলাকার লোকজনেরা। মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সমগ্র বিষয়টি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেও নেশাকারবারির বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনদের। বর্তমান সময়ে সেই নেশাকারবারী প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকজনদের গাড়ী চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান। শান্তিরবাজার থানার পুলিশ ও মহকুমার পুলিশ আধিকারিকের উপর আস্থা হারিয়ে অবশেষে এলাকাবাসি নিজেদের পরিবারের লোকজনদের সুরক্ষিত রাখতে ও এলাকার যুবকদের নেশার করালগ্রাস থেকে মুক্তি দিতে আলোচনাক্রমে একটি কমিটি গঠন করেন। শুধুমাত্র পুলিশ নয় শান্তিরবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীদের কোনো প্রকার কাজ করতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ। সকলের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা দেখে রবিবার এলাকাবাসী ভিলেজ এলাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন। আলোচনা সভায় কিভাবে এলাকাকে নেশামুক্ত রাখা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে সকল অংশের মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে নেশাবিরোধী অভিযানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। শান্তিরবাজার পুলিশের এখন মূল কাজ হচ্ছে যানবাহন চেকিং করে অর্থ আদায় করা। যানবাহন চেকিং এর মধ্যে গরু বোঝাই গাড়ী ও বহিরাজ্য থেকে আনা একটি সিগেরেটের গাড়ীকে ছারপত্র দেওয়া হচ্ছে। থানার নাকের ডগা দিয়ে অবৈধভাবে গরু বোঝাই গাড়ী চলে যাচ্ছে ও বহিরাজ্যের একটি সিগেরেট বোঝাই গাড়ী চলে যাচ্ছে। এগুলির উপর পুলিশের কোনোপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায় না। ছোটখাটো যানবাহন চেকিং করে অর্থ আদায়ের মধ্য দিয়ে পুলিশ কোনোপ্রকার নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ। দিনের পর দিন সাধারন লোকজনেরা পুলিশের উপর আস্থা হারাচ্ছে। যার ফলে নেশাবিরোবী অভিযানে স্থানিয় লোকজনেরা কমিটি গঠন করতে দেখা গেলো রবিবার।