গোপাল সিং, খোয়াই, ২৯ মার্চ || খোয়াইয়ের পদ্মবিলে ১৪ই চৈত্র পালন করা হলো ঐতিহাসিক শহীদান দিবস। শুক্রবার কুমারী মধুতী রূপশ্রী’র ৭৭’তম শহীদান দিবসে তিন বীরাঙ্গনার আত্মত্যাগ স্মরণে অনুষ্ঠিত হলো বিশাল জমায়েত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রামে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং জিএমপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নরেশ জমাতিয়া। পদ্মবিলের শহীদ স্মৃতিসৌধে অগণিত মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্যরাও।
প্রথমে শহীদ স্মৃতিসৌধে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয় এবং এরপর নরেশ জমাতিয়া, রঞ্জিত দেববর্মা, পদ্ধ কুমার দেববর্মা, গায়েত্রী দত্ত, ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিন নরেশ জমাতিয়া বলেন, “কুমারী মধুতী রূপশ্রী শুধু রাজতন্ত্র অবসান ও তিতুন প্রথা উচ্ছেদের জন্যই নয়, মুক্তি আন্দোলনেরও শহীদ। তিন বীরাঙ্গনার আত্মত্যাগ আমাদের ভবিষ্যতের আন্দোলনে পথ দেখাবে। শহীদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আমাদের সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রামকে শক্তিশালী করতে হবে।” তিনি জানান, “কুমারী মধুতী রূপশ্রীর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই ত্রিপুরায় প্রথম বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং সমাজের অবহেলিত মানুষদের উন্নয়নের পথ খুলে যায়। সেই সংগ্রাম আজও চলমান।” জমায়েতে উপস্থিত সকলকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং শহীদদের স্বপ্ন পূরণের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান জমাতিয়া। তিনি বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগকে অমলিন রাখতে এবং সমাজের সকল ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
পদ্মবিলের পাশাপাশি খোয়াই মহকুমার সিপিআই(এম) কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন অঞ্চলেও যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদান দিবস পালিত হয়। খোয়াইয়ের সিপিআই(এম) কার্যালয়ে নারীনেত্রী শুক্লা সেনগুপ্তা সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির পতাকা উত্তোলন করেন এবং নেতৃবৃন্দ শহীদবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।