সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০৬ এপ্রিল || তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ব্যাপক সংখ্যক জনজাতি এলাকা রয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ বছরের প্রায় প্রতিটা সময় তীব্র জল কষ্টে ভুগতে থাকে। বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই আমরা যতই উন্নত হওয়ার দাবি করি না কেন, এখনো কৃষ্ণপুর বিধানসভার একটা বিরাট সংখ্যক জনজাতি রয়েছে, যারা পানীয় জল থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটা প্রয়োজনে জলের জন্য অপরিশোধিত উৎসের উপর নির্ভরশীল। এই এলাকা গুলোর মধ্যে কাকরাচড়া এডিসি ভিলেজের অন্তর্গত হাজরা পাড়ার বাসিন্দারা এখনও পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে। প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানীয় জলের জন্য এখনও একটি মাত্র রিং কুয়ার উপর নির্ভরশীল বলে জানায় এলাকাবাসী।
এলাকার গিরিবাসীদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে কিছু জলের সাপ্লাই পয়েন্ট রয়েছে, কিন্তু তাও না থাকার মত। কারন সেগুলো এক দিকে যেমন যথেষ্ট নয় এর পাশাপাশি জলও থাকেনা। গাড়ি যুগে কিছু কিছু এলাকায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা নিয়মিত নয়। ফলে বাধ্য হয়ে কেউবা ছড়ার জল, কেউবা জমানো জল, আবার কেউবা পাথর চুয়ানো জলের উপর নির্ভর করে থাকছেন। ফলে স্বভাবতই বলা চলে, রাজ্য সরকারের কোটি টাকা ব্যয় হলেও কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকায় তা সঠিক ভাবে পৌছায়নি। অভিযোগ ডি ডাব্লিউ এস দপ্তর থেকে গাড়ি করে যে জল সরবরাহ করা হয় তাও পানের অযোগ্য। এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ সেই জলও টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
সার্বিকভাবে এই সমস্ত এলাকায় পানীয়জলের ব্যবস্থা অতিদ্রুত করা দরকার বলে দাবী স্থানীয়দের।