গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের করা ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন

সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০৯ এপ্রিল || তেলিয়ামুড়া থানাধীন জয়নগর এলাকায় ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের করা ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযুক্ত দিলীপ সরকারকে আগরতলা থেকে আটক করে খোয়াই আদালতে সোপর্দ করেছে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই গ্রাম প্রধান প্রায়ই আসতেন দিলীপ সরকারের বাড়িতে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। জানা গেছে, সেই সম্পর্কের মুহূর্ত গোপনে মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন দিলীপ সরকার। এখানেই বাঁধে কাল।
গোপন ভিডিওটি গ্রাম প্রধানের পরিবারের এক সদস্য দিলীপ সরকারের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে মোবাইল থেকে গোপনে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। সেই ভিডিও দেখিয়ে দিলীপ সরকারের কাছ থেকে টাকাও আদায় করেছিল বাড়ির সেই সদস্যটি। সেখান থেকেই ভিডিওটি কোনওভাবে সাংবাদিক নরেন চক্রবর্তীর কাছে পৌঁছায়। অভিযোগ উঠেছে, নরেন চক্রবর্তী ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
এই ঘটনার জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গ্রাম প্রধান, শেষমেশ এক তাবড় রাজনৈতিক নেতার সহায়তায় খোয়াই পুলিশ সুপারের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি স্থানান্তরিত হয় তেলিয়ামুড়া থানায়, যেখানে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দিলীপ সরকারকে গ্রেফতার করে।
তবে এই ঘটনায় উঠছে নানা প্রশ্ন। যদি সম্পর্কটি ইচ্ছাকৃত হয়, তাহলে ধর্ষণের অভিযোগ কতটা যুক্তিসম্মত? আবার, ভিডিও গোপনে ধারণ ও তা ভাইরাল করার আইনি দিকগুলোও উঠে আসছে আলোচনায়।
এই মামলায় তদন্ত চলাকালীন দিলীপ সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিক নরেন চক্রবর্তীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে দোষী, আর কারা ষড়যন্ত্রের শিকার — তা জানতে এখন নজর তদন্তের দিকে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*