কৃষি আঞ্চলিক আধিকারিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া

বিশ্বশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৫ এপ্রিল || রাজ্য সরকার চাইছে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে। রাজ্য সরকারের উদ্দ্যেশ্যকে সাফল্যমন্ডীত করতে কাজ করে যাচ্ছে জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তর। অপরদিকে রাজ্য সরকারের হয়ে কৃষকদের কাছে সমস্ত প্রকারের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে জোলাইবাড়ীর জনপ্রিয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়ার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জোলাইবাড়ী কৃষকদের জন্য প্রতিনিয়ত নানান সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্তপ্রকারের সুযোগ সুবিধাগুলি স্বচ্ছতার সহিত কৃষকদের কাছে পোঁছে দিচ্ছে জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস। জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ৮০ শতাংশ লোকজন কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। দেবদারু এলাকার লোকজনেরা বিগতদিনে কৃষি কাজের বিভিন্ন সামগ্রী আনার জন্য জোলাইবাড়ী ছুটে যেতে হতো। তাই এই এলাকার ৮টি পঞ্চায়েতের অধীনে কৃষকদের সুবিধার্থে মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়ার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দেবদারু এলাকায় কৃষি আঞ্চলিক আধিকারিকের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই কার্যালয়ের শুভ উদ্ভোধন করলেন মন্ত্রী শুক্লাবচরন নোয়াতিয়া। প্রদীপ প্রজ্বলন, ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে কৃষি আঞ্চলিক আধিকারিকের কার্যালয়ের শুভ উদ্ভোধন করলেন মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া। এদিন এই অনুষ্ঠানে উদ্ভোধকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, দক্ষিন জেলাপরিষদের সদস্য শম্ভু মানিক, জোলাইবাড়ী ব্লকের বি এস সি’র চেয়ারম্যান অশোক মগ, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী চেথই মগ, জীতিরাম ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নয়ন স্বার্থে কি কি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এছারাও বিগত বাম আমলে কৃষকদের বঞ্চনার চিত্র সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। মন্ত্রী জানান, বিগত বাম আমলে কৃষকরা কিছু পেতে গেলে আন্দোলন করতে হতো। বামেদের লাইনে হেটে কৃষকরা তাদের সুযোগ সুবিধা পেতো। বর্তমান সময়ে রাজ্যে বিজেপি-আই পি এফ টি’র জোট সরকার চলাকালিন সময়ে কৃষকদের কোনোপ্রকার আন্দোলন করতে হয় না। আন্দোলন ছারাই কৃষকদের কাছে সমস্ত প্রকারের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সময়ে কৃষকদের কোনোপ্রকার চাঁদা দিতে হচ্ছে না। বিগত দিনে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করার আগেই পার্টি ফান্ডে বিশেষ তহবিলের চাঁদা প্রদান করতে হতো। এতে করে কৃষকরা কৃষি কাজে আগ্রহ প্রকাশ করতো না। বর্তমান সময়ে কোনোপ্রকার চাঁদাবাজী ছারা রাজ্য সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে কৃষকরা পুনরায় কৃষি কাজে বেশি পরিমানে আগ্রহ প্রকাশ করছে। দেবদারু এলাকায় এই কৃষি কার্যালয়ের শুভসূচনা করার পর থেকে কৃষকরা এই কার্যালয় থেকে সমস্ত প্রকারের সুযোগসুবিধা পাবে। জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়কের দায়িত্বে শ্রীদাম দাস যতদিন থাকবে ততদিন কৃষকদের কোনোপ্রকার সমস্যার সন্মুখিন হতে হবে না। শ্রীদাম দাস প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কৃষকদের কাছে সমস্তপ্রকারের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়াকে এইধরনের উন্নয়নের জন্য দেবদারু এলাকার কৃষকরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ করা যায়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*