আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৭ মে || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা মঙ্গলবার জানান, রাজ্য সরকার ৬,০৬৭ জন নবনিযুক্ত স্পেশাল এক্সিকিউটিভকে পর্যটন পুলিশের দায়িত্বে নিয়োগের কথা ভাবছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পর্যটনক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানই এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য। শীঘ্রই নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে।
এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করেন আমারপুরে এডিবি অর্থায়িত ৬৭ কোটি টাকার পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে। এই প্রকল্পে চবিমুরা, ফতীক সাগর এবং অমর সাগর সহ গোমতী জেলার আমারপুর মহকুমার একাধিক পর্যটনস্থলের উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরার পর্যটনে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি নীরমহল, ডুম্বুর লেক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর কথা তুলে ধরেন। আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে পর্যটকদের আকৃষ্ট করাই সরকারের উদ্দেশ্য।
তিনি সাধারণ নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ত্রিপুরার পর্যটন প্রচারের আহ্বান জানান এবং বলেন, “মানুষের অংশগ্রহণই রাজ্যের পর্যটনের বিকাশে বড় ভূমিকা নিতে পারে।”
সম্প্রতি পাহালগামে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ইঙ্গিত করে তিনি জানান, ত্রিপুরা এখন শান্তিপূর্ণ ও জঙ্গিমুক্ত, যা পর্যটনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের নেতৃত্বে এই শান্তি ফিরেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ডাঃ সাহা পূর্বতন বাম ও কংগ্রেস সরকারগুলোর পর্যটন খাতে অভাবনীয় দৃষ্টিভঙ্গির অভাব নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ত্রিপুরা আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে দ্রুত জায়গা করে নেবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন সচিব ইউ. কে. চাকমা, পরিচালক প্রশান্ত বাদল নেগি, জেলা শাসক তরিত কান্তি চাকমা এবং এসপি নমিত পাঠক। সফরের অংশ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনেরও উদ্বোধন করেন।