গোপাল সিং, খোয়াই, ১০ অক্টোবর || “কমলো GST হার, পেলাম পূজার উপহার — আনন্দিত প্রতিটি পরিবার!” এই স্লোগানেই আজ খোয়াই জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মুখরিত হয়ে ওঠে সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন NextGenGST সংস্কারকে স্বাগত জানিয়ে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রবীণ নেতৃত্ব সুবল বৌমিক, বিজেপি খোয়াই জেলা সভাপতি বিনয় দেববর্মা, বিজেপি নেতৃত্ব অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক, জেলা সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস সহ অন্যান্য জেলা ও মন্ডল নেতৃত্বগণ।
নেতৃত্বরা বলেন, মোদী সরকারের এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে, ফলে উৎসবের মরশুমে বাজারচলতি পণ্যের দামে স্বস্তি এসেছে। তারা জানান, পূর্বের জিএসটি হার ছিল ৫% থেকে ২৮%, যা এখন হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০% থেকে ১৮%— ফলে গৃহস্থালির পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ী এবং মাঝারি শ্রেণিও উপকৃত হচ্ছেন।
সুবল ভৌমিকের দাবি, “মোদীজির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতির প্রতিফলন ঘটেছে এই সংস্কারে। একদিকে সরকারের রাজস্ব স্থিতিশীল থাকছে, অন্যদিকে সাধারণ নাগরিক পাচ্ছেন মূল্যছাড়ের স্বস্তি।” তিনি এর জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন।
তিনি আরও বলেন, “এই নতুন জিএসটি সংস্কার কেবল কর-নীতি নয়, এটি জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। দেশের প্রতিটি পরিবার আজ উৎসবের আগে পাচ্ছে এক বাস্তব উপহার।”
বিজেপি খোয়াই জেলা সভাপতি বিনয় দেববর্মা আশা প্রকাশ করেন — “আমরা খোয়াই জেলার প্রতিটি ব্যবসায়ী ও নাগরিককে আহ্বান জানাই— এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা গড়ে তুলুন।”
অন্যদিকে জেলা সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস জানান, এই সংস্কারের ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও স্থানীয় উৎপাদকরা আরও প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বাজারে টিকে থাকতে পারবেন, যা স্থানীয় অর্থনীতির পক্ষে শুভ সংকেত।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একাধিক ভোগ্যপণ্য ও গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর GST হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার প্রভাব ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিবাচকভাবে দেখা যাচ্ছে। ত্রিপুরায় বিজেপি নেতৃত্বরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী উভয়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক আশাবাদ সৃষ্টি করবে।
বিজেপি জেলা নেতৃত্বের বক্তব্যে তাই আজ স্পষ্ট বার্তা— “নতুন জিএসটি মানে নতুন আশা, নতুন উন্নয়ন, আর জনগণের মুখে উৎসবের হাসি।”
