জাতীয় ডেস্ক ।। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রবল চাপের মুখে পড়ে পাল্টা আক্রমণের রাস্তাই বেছে নিল গান্ধী পরিবার। দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি-র চড়া সুরের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আর তার মা সোনিয়ার হুঙ্কার, তিনি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। তাই ভয় পাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে, প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সোনিয়া-রাহুলকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। অসহিষ্ণুতা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে চাপে থাকা বিজেপি আদালতের এই রায়ের পরই ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বিজেপি-র কথায় নিজেক গুটিয়ে না নিয়ে, অ্যাটাকিং মেজাজে থাকারই রণনীতি নিয়েছেন সোনিয়া-রাহুল। পুদুচেরিতে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখতে পাচ্ছি। প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে কেন্দ্র ভেবেছে ওদের দিকে আঙুল তোলা থেকে আমাকে বিরত রাখবে। কিন্তু, এই স্বপ্ন তাদের কোন দিনই পুরণ হচ্ছে না।’ রাহুলের মতোই দৃপ্ত কণ্ঠে সোনিয়ার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া, ‘আমি কখনো কাউকে ভয় পাইনা? আমি (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী) ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ তাই কারওকে ভয় পাই না।’ তবে, সোনিয়া-রাহুল যতই আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেননা কেন, দিল্লি আদালতের রায়ে মঙ্গলবার দিনভর সংসদের উভয় কক্ষে বিব্রত হতে হল কংগ্রেসকে। তাদের রাজনৈতির প্রতিহিংসার অভিযোগের বিরোধিতা করে পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি। কংগ্রেসের সাংসদরাও স্লোগান দিতে থাকেন, ‘স্বৈরাচার বন্ধ করুন প্রতিহিংসার রাজনীতি কাজে আসবে না।’ দু পক্ষের তুমুল হই-হট্টগোলে দফায় দফায় মুলতুবি করার পর, লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন সারাদিনের মতো মুলতুবি করা হয়। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মঙ্গলবার সোনিয়া-রাহুলের হাজিরা না দেওয়ার আর্জি আদালত গ্রহণ করেছে। পরিবর্তে ১৯ ডিসেম্বর তাদের নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।