গোপাল সিং, খোয়াই, ৩১ ডিসেম্বর ৷৷ গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান। একটি গাছ একটি প্রাণ। তার সাথেই জনসচেতনতার প্রশ্নে আরও একটি কথা প্রচলিত আছে একটি গাছ কাটার পর এর ভর্ত্তুকি হিসাবে বিকল্প গাছ লাগানো উচিত। কিন্তু এখানেই যত বিপত্তি। অসচেতনতার এই ঘেরাটোপেই দেশ নয় গোটা বিশ্বজুড়ে এখন তোলপার ভূপৃষ্ঠ। বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। আর এরজন্য দায়ী কোন অন্য গ্রহের জীব নয় আমরা মানুষই এর জন্য মুল দায়ী। যে কারনে একটি গাছ কাটার পর তার ভর্ত্তুকি হিসাবে বিকল্প গাছ না লাগানোর খেশারত ধীরে ধীরে দিতে হচ্ছে। খোয়াই জেলাতেও গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান স্লোগানের কোন প্রকার সুফল নেই। শুধু বছরের পর বছর ধরে চলছে বনমহোৎসব আর এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অর্থ কামাই করা। প্রতি বছর সরকারী টাকা খরচ করা হচ্ছে। বৃক্ষরোপন হচ্ছে। কিন্তু চারাগাছগুলিকে রক্ষনাবেক্ষনের কোন উদ্যোগ কেউই গ্রহন করছেন না। উপরন্তু বহু পুরনো গাছগুলো একের পর এক কেটে সাফ করে ফেলা হচ্ছে। শহরকে সাজাতে, নতুন রূপ দিতে একের পর এক ৬০-৭০ বছর পুরনো গাছ ধ্বংস করা হচ্ছে। কিন্তু বিকল্প গাছ লাগানোর কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছেনা। খোয়াই কবিগুরু পার্ক চত্বরে স্থানীয় পুকুর পারে একটি বহু পুরনো বটবৃক্ষ কেটে ফেলা হল। পূর্ত্ত দপ্তরের উদ্যোগে কয়েক মাস আগে এই গাছ কেটে ফেলা হলেও এর বিকল্প হিসাবে কোন গাছ লাগানো হয়নি এযাবত। বরং গাছের কাটা অংশগুলি রাস্তার ধারে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে। এগুলিকে রাস্তার ধার থেকে অন্যত্র সরানোর কোন উদ্যোগ নেই পূর্ত্ত দপ্তরের। অথচ আশেপাশে দু-দুটি স্কুল, পার্টি অফিস, পুর পরিষদের কার্য্যালয় রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ দপ্তর, দুটি টাউন হলও রয়েছে। ব্যস্ততম সড়কের পাশে এভাবে গাছের বিশাল বিশাল টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও উদাসীন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এমনিতেই দূর্ঘটনার হিড়িক। তারমধ্যে পূর্ত্ত দপ্তরের এই উদাসীনতায় বড়সর যান দূর্ঘটনার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। তাছাড়া রাস্তা বেশ সরু। যান চলাচলে এমনিতেই অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে এই বিষয়টিতে কোন প্রশাসনিক কর্তার কোন নজর নেই। অতিসত্বর গাছের কাটা অংশগুলি সরিয়ে যেন দূর্ঘটনা থেকে স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারন মানুষকে রক্ষা করার দাবি জনসাধারনের।