উত্তরে হিমেল হাওয়া আক্রমণ করছে আপনার নাজুক ত্বকে। পঞ্চইন্দ্রিয়ের একটা ইন্দ্রয় শীতের প্রভাবে কাবু। তাকি হয়! লড়াইয়ের অস্ত্র নিশ্চই আছে। নীচে দেওয়া হল শীতে ত্বকের যত্নের কিছু টিপস।
১. পরিচ্ছন্নতা: শীতকালে ত্বক সজীব রাখার মূল মন্ত্রই হল নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন রাখা। শীতকালে বাতাসে জলীয়বাস্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আবহাওয়া হঠাৎ শুষ্ক হয়ে যায়। অন্যদিকে বাতাসে ধূলিকাণার পরিমানও বেড়ে যায়। তাই শুষ্ক ত্বকের যত্নের প্রথম ধাপই হল পরিচ্ছন্নতা।
শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে টান পড়ে,যার ফলে কমবেশি আমরা সবাই শরীরে ময়েশ্চরাইজার লাগায়। যার ফলে আমাদের শরীরে ধূলোবালি বেশি জমে। তাই কোনো দিন স্নান বাদ দেবেন না। এতে শরীর আরো শুকিয়ে যাবে। দরকার হলে হালকা গরম জলে স্নান করুন প্রতিদিন।
শীতকালে মুখ ফেস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করার বদলে তুলোয় ক্লিনজিং মিল্ক লাগিয়ে মুখ পরিষ্কার করে মুছে নিন। তারপর জলের দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সাবান যত পারবেন কম ব্যবহার করুন। বদলে লিকুইড সোপ ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে শরীরের অন্যান অংশের যত্ন নিলেও আমদের মধ্যে অনেকেই ভুলে যাই চরণযুগলের কথা। তাই নজর রাখুন পা ফাটলে একেবারেই নোংরা জমতে দেবেন না। গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
২. ময়শ্চারাইজিং : এই সময় ময়শ্চারাইজিং ভীষণভাবে জরুরি। স্নানের জলে কয়েকফোঁটা গ্লিসারিন ফেলে দিয়ে সেই জলে স্নান করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
স্নানের পর এবং বাড়ি ফিরে হাত, মুখ ধোওয়ার পর ভাল করে হালকা কোনও ময়শ্চারাইজার মুখে, হাতে পায়ে লাগান। ভারী ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে বাইরে বেরবেন না। এতে ধুলো ময়লা গায়ে বসে যাবে। ফাটা পা পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ভাল ক্রিম লাগিয়ে শুতে যাবেন।
ঠোঁট ফাটলে অল্প গ্লিসারিন আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে লাগান। সারাদিন লিপ বামের হালকা পরত লাগিয়ে রাখুন।
৩. কনুই, গোড়ালির বিশেষ যত্ন : শুষ্ক গোড়ালি কনুইয়ের জন্য এই সময় খুব ভাল ঘরোয়া পদ্ধতি। একটুকরো লেবুর সাথে চিনি লাগিয়ে কিছুক্ষণ কনুইতে ঘষুন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪. প্যাক: ময়দা, বেসন বা যে কোনো ধরণের প্যাক যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয় তা একেবারেই লাগাবেন না। ত্বক আরো আর্দ্রতা হারাবে। তার থেকে বরং এই সময়ের জন্য উপকারী ফ্রুট প্যাক। কলা আর মধু মিশিয়ে মুখে গলায় লাগান। এই প্যাক ত্বক পরিষ্কার যেমন করবে, আর্দ্রতাও বজায় রাখবে আবার উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
৫. মেক আপ: যেহেতু এই সময় মেক আপ নষ্ট হয় না তাই সারাদিন মেক আপ করে থাকা যায়। সবসময় ক্রিম বেসড মেকআপ লাগাম মুখে। নাহলে ত্বকের সমস্যা দেখা দেবে।
লিপস্টিক লাগালে সেটাও যেন ক্রিম বেসড হয়। নাহলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা আরো বাড়বে।
৬. খাওয়া দাওয়া: সঠিক খাওয়া দাওয়া ত্বক ভাল রাখতে খুবই জরুরি। প্রচুর মউসুমি ফল ও শাক সবজি খান। গরম হার্বাল চায়ের কোনো তুলনা নেই এইসময়।
প্রতিদিন সকালে উঠে ১ চামচ মধু খান। ঠান্ডা যেমন লাগবে না, ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
৭. জল: শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে গেলেই তার প্রভাব বাইরে পড়ে। তাই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূরে রাখতে প্রচুর পরিমানে জল