গোপাল সিং, খোয়াই, ৩০ জুলাই ৷। খোয়াই মহকুমায় জনগণ বনাম প্রশাসনের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। একদিকে প্রশাসনের খামখেয়ালিপনা অন্যদিকে খোয়াইয়ের সচেতন নাগরিক এবং ব্যবসায়ী মহল। এমতাবস্থায় দিশেহারা জনসাধারণ আজ প্রায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। আর বিত্তশালী মানুষ তামশা দেখছেন। ঘটনার সূত্রপাত খোয়াই সুভাষপার্ক বাজারে। এই করোনা মহামারীর মধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের উদাসীনতায় স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি উদ্যোগ নিয়ে তিনদিন সুভাষপার্ক বাজার বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু টানা তিনদিন বাজার বন্ধ থাকার পর পুনরায় প্রশাসন তিনদিন বন্ধের ডাক দেয়। তাও খোয়াইয়ের সচেতন জনগণ মেনে নেন। কিন্তু রাজ্যে পুনরায় যখন প্রশাসন লকডাউনের ঘোষনা দেয় তখনই জনগণ ক্ষেপে যায়। সমগ্র জেলায় জনগণ থেকে ব্যবসায়ী সবাই বাজার-হাঁট, টমটম-অটো সহ সাধারন ব্যবসায়ীরা দোকান খোলে বসে। জনগণকেও দেখা যায় রাস্তায়। জনসাধারণের অভিমত হলো, প্রশাসন কেন এক বা দু’দিন সময় দেয়নি। খোয়াইতে যেহেতু বৃহস্পতিবার ৮দিন যাবত বাজার, হাঁট, ব্যবসা বন্ধ, হঠাৎ করে লকডাউনের ঘোষনা রাতে দেওয়া হল। অথচ জনগণ বিশেষ করে কৃষক, কাঁচামাল বিভিন্ন সবজি ক্ষেত থেকে তুলে নেন। তাহলে লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। এমনিতেই কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না। ধার দেনা করে কৃষককুল পথে বসে যাচ্ছে। জলের দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি। দিন আনি দিন খাই অবস্থার মধ্যে বন্ধন ব্যাঙ্ক লোন, মহাজনী ধার নিয়ে কৃষক থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং আম জনতা দিশেহারা। জনগণ বলছেন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন খোয়াইয়ের ৮০% ব্যবসায়ী। এরমধ্যে প্রশাসনের এই পরিকল্পনাবিহীন লকডাউনে দিন আনি দিন খাই অবস্থায় থাকা মানুষগুলোর এখন রুদ্ধশ্বাস। করুন অবস্থা। আজ খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াইটাই বড়ো। জনগণের প্রশাসনের কাছে আবেদন, পরিকল্পিতভাবে লকডাউন দেওয়া হউক। তা না হলে ক্ষুধা আর ঋণের যন্ত্রণায় মারা যাবে অনেক। পরিণাম করুনার প্রভাব থেকেও ভয়ানক হবে বলে অভিমত জনসাধারণের।