পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা, পাল্টা মামলা স্ত্রীর

IMG-20201109-WA0203আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ১০ নভেম্বর ৷। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা। পাল্টা স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা করেন কলমচৌড়া থানায়। জানা যায়, বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫নং ওয়ার্ডের মুল্লামুড়া এলাকার ফারুক মিয়ার পরিবারে গত দুই বছর যাবত অশান্তি নেমে আসে। ফারুক মিয়া এলাকার মুসলেম মিয়ার মেয়ে নয়ন তারা কে গত ২০০১ সালে অর্থাৎ 19 বছর আগে সামাজিক রীতি মেনে বিবাহ করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের কয়েক বছর পর ফারুক মিয়া বিদেশে চলে গেলেন। তার স্ত্রী বক্সনগর টাউন হল সংলগ্ন ঠিকাদারের সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়ে যায়। স্বামী তিন বছর বিদেশে থাকার পর কুকীর্তির খবর পেয়ে বাড়িতে আসলেও কোন কাজের কাজ হয়নি। স্ত্রী ওই ঠিকাদারের সাথে স্ত্রীকে নিজের চোখে দেখে স্বামী এইসব কুকীর্তি সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়ে ছিলেন। মাসখানেক জিবি হাসপাতালে ভর্তি থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গেলেও স্বামী ফারুক মিয়ার দুটি পা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। স্ত্রী তার এই বিকলাঙ্গ অবস্থা দেখতে পেয়ে তার সাথে থাকতে নারাজ। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। দুই বছর যাবত তাদের মধ্যে কোনো দেখা সাক্ষাত হয় না, যে যার মত চলে। স্ত্রী নয়ন তারা এই সুযোগ পেয়ে বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল শীল নামে এক ব্যক্তির সাথে প্রেম নামক খেলা খেলতে থাকে তার স্বামীর সামনেই। এদিকে স্বামী ফারুক মিয়া গত ১৭দিন আগে বিশালগড় করুই মোরা এলাকা থেকে একটি মেয়েকে বিবাহ করে নিয়ে আসে। এই খবর স্ত্রী নয়ন তারা শুনতে পেয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। এই সব সহ্য করতে না পেরে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ চালায়। তার শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আসে এবং তার মা-ও বিকলাঙ্গ স্বামীকে মারধর করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। লোকজনের সহায়তায় বেঁচে যায় মা ও বেটা। পরে সোজা চলে যায় তার বিকলাঙ্গ স্বামীর চায়ের দোকানে। সেখানে গিয়ে তার চায়ের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এইসব ঘটনা স্বামী ফারুক মিয়া সহ্য করতে না পেরে কলমচোরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পাল্টা স্ত্রীও স্বামীর বিরুদ্ধে কলমচোরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*