সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ১৬ নভেম্বর || কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচারিত গ্রামের জলের সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ জল মিশন এবং জল জীবন। বর্তমান সময়ে দেখা যায় সেই কেন্দ্রীয় সরকারের জল মিশন এবং জল জীবন নামক কর্মসূচি সাইনবোর্ড সর্বস্য হয়ে পড়েছে। গত ছয়মাস যাবৎ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত গন্ডাছড়া সদর বাজারের পাশে দুর্গাপুর গ্রামের একাংশ পরিবার।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই গন্ডাছড়া এডিসি অফিস সংলগ্ন রজন সাহার বাড়ীর সামনে থেকে প্রায় পঞ্চাশ মিটার জায়গায় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে। জল গড়াগড়ি খাচ্ছে রাস্তা বা সড়কে। কিন্তু জল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এই ঘটনাটি নিয়ে শনিবার জল অফিসে গিয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধি। অফিসে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধি দেখতে পান গোটা অফিস ফাঁকা। একটি কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পান কক্ষে বসে মোবাইল টিপছেন এক ব্যক্তি। জিজ্ঞাসা করতেই ঐ ব্যক্তি বললেন আমার নাম নকুলজয় রিয়াং। তিনি গ্ৰুপ ডি কর্মচারী। নকুলজয় বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয় অফিসের এসডিও এবং অন্যান্য অফিসাররা কোথায়? জিজ্ঞাসা করতেই নকুলজয় বাবু জানান অফিসে কেউ নেই। এসডিও বেশিরভাগ দিন অফিসে আসেন না। তাছাড়াও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়াররাও অফিসে আসেন না। এমন সময় পাশের একটি কক্ষ থেকে গোঙানীর শব্দ কানে আসতেই আমাদের প্রতিনিধি ঐ কক্ষে গিয়ে দেখতে পান ঐ অফিসের এক কর্মী চেয়ারে বসে নাক ডাকিয়ে দিব্বি ঘুমিয়ে চলেছেন। ঐ অফিস কর্মীর ঘুমন্ত ছবি ক্যামেরা বন্দী করা হলো।
জানা গিয়েছে, মাসের পর মাস এভাবেই চলছে গন্ডাছড়া মহকুমার ডিডোব্লিও এস দপ্তরের কর্ম সংস্কৃতি। সব জেনে শুনেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে ধলাই জেলার জল কর্তৃপক্ষ। এখন দেখার এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কি ভূমিকা নেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।