আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৯ মার্চ || ৮ই মার্চ যুব বিকাশ কেন্দ্র (YVK) গর্বিতভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে মাধববাড়ি এডিসি গ্রামে। যেখানে নারীর ক্ষমতায়ন ও গ্রামীণ উন্নয়নের চেতনা সম্মানিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিস মেঘা জৈন আইএএস। এ দিনটি উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাংক (NABARD) এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ডিজান্ত কুমার দাস, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. এম. বি. দেবী, যুব বিকাশ কেন্দ্রের সহ-সভানেত্রী পঞ্চালী দেববর্মা, যুব বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি দেবাশীষ মজুমদার, মাধববাড়ি এডিসি গ্রাম পঞ্চায়েত সেক্রেটারি জয়ন্ত দাস, যুব বিকাশ কেন্দ্রের সেক্রেটারি প্রতিমা দেববর্মা এবং বিভিন্ন গ্রামের গ্রামবাসীরা।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণ নারীদের উন্নয়ন ও কমিউনিটির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পঞ্চালী দেববর্মার উষ্ণ স্বাগতিক বক্তব্যের মাধ্যমে, যেখানে তিনি যুব বিকাশ কেন্দ্রের গ্রামীণ ক্ষমতায়ন এবং নারীদের কল্যাণে সংগঠনের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। পরে যুব বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি দেবাশীষ মজুমদার, ত্রিপুরা, অসম এবং অরুণাচল প্রদেশে গ্রামীণ উন্নয়নে সংগঠনের কার্যক্রম এবং তার সুফল তুলে ধরেন।
জাতীয় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাংক (NABARD) এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ডিজান্ত কুমার দাস গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য ব্যাংকের উদ্যোগ এবং কৃষি অগ্রগতির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন, বিশেষ করে নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. এম. বি. দেবী গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষি উন্নয়নের জন্য চলমান কর্মসূচি তুলে ধরেন এবং সকল নারীকে এগুলিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি নারীদের গ্রামীণ পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে সক্রিয় হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে মিস মেঘা জৈন আইএএস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার কালেক্টর, যুব বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেন এবং সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত কার্যক্রমের সাফল্য এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের উপর এর প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি উপস্থিত নারীদের অভিজ্ঞতা শোনেন এবং তাদের দৃঢ়তা ও সংকল্পের প্রশংসা করেন।
যুব বিকাশ কেন্দ্রের গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং নারীদের উন্নয়নে দৃষ্টি নিবদ্ধ কার্যক্রমের সাফল্য অনুষ্ঠানে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যেমন শুমিতা দেবনাথ, হেমা চৌধুরী, সুজয় মজুমদার, সুকান্ত সরকার, বিরজু দেববর্মা, সেভিয়র দেববর্মা, সুজনা দেববর্মা, আর্চা রায়, মজেশ দেববর্মা প্রমুখ।
একটি বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গ্রামীণ উন্নয়নে তাদের অসাধারণ অবদানের জন্য ঝর্ণা দেববর্মা, শোভা দেববর্মা এবং কুমারী মনীশা দেববর্মাকে সম্মানিত করা হয়।
এই অনুষ্ঠান নারীদের গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং তাদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান উন্নত করার জন্য যে উদ্যোগগুলি গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। যুব বিকাশ কেন্দ্র তার মিশন গ্রামীণ নারীদের এবং সম্প্রদায়গুলিকে ক্ষমতায়ন করার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এটি গ্রামীণ ভারতের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানটি একটি আশাবাদী, ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ় সংকল্পের মধ্যে শেষ হয়, যেখানে সকল অংশগ্রহণকারী গ্রামীণ নারীদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে অনুপ্রাণিত হয়ে অনুষ্ঠানের স্থান ত্যাগ করেন।
