সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ১৪ মার্চ || শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাদের সমাজের মেরুদন্ড। শিক্ষক শিক্ষিকারাই নরমে গরমে শাসনের মাধ্যমে আমাদের দেশের কারিগরদের সুশিক্ষার মাধ্যমে কঠোর পরিশ্রমে তৈরী করে থাকেন। আবার একাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন যারা শিক্ষকের ছদ্মবেশে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে জাহান্নামে পাঠানোর চেষ্টা করে চলেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। আমাদের দেশের সরকার বলে চলেছেন কোন ছাত্রছাত্রীকে বিদ্যালয়ের গন্ডির বাইরে রাখা যাবে না। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের গন্ডির মধ্যে আনতে হবে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের এত প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সুশাসনের যুগে গন্ডাছড়া মহকুমার এডিসি নন-এডিসি বিদ্যালয়ের পরিবেশ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। সুশাসনের যুগে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার নাক্কাছড়া এডিসি ভিলেজের অন্তর্গত বিশ্বকর্মা এস বি স্কুলের শিক্ষক জয়মনি চাকমা এক ছাত্রকে প্রতিহিংসা মূলক আচরণ করে পিটিয়ে গুরতর আহত করে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রকে। গুরতর অসুস্থ ছাত্রকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আনা হয় গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে। শারীরিক ভাবে গুরতর আহত ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গেই পাঠানো হয় গোমতি জেলার টেপানিয়া হাসপাতালে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ছাত্র লক্ষ্মীচান চাকমার বাবা অমিতকুমার চাকমা জানান, অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সকালে বিশ্বকর্মাপাড়া এস বি স্কুলে যায় তৃতীয় শ্রেণীতে পাঠরত ছেলে লক্ষীচান চাকমা। দুপুর নাগাদ বাড়িতে ফিরে ছাত্র লক্ষীচান অস্বস্তি শুরু করে। এক সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে লক্ষীচান। সন্ধ্যা নাগাদ আনা হয় মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। গুরতর আহত ছাত্রের পাশে দাঁড়ান গন্ডাছড়া মহকুমার টিটিএএডিসি’র শিক্ষা দপ্তরের চেয়ারম্যান হরিশ দেব্বর্মা, ওয়াই এফ টি’র সহ -সভাপতি রতনবিকাশ চাকমা। উক্ত ঘটনা নিয়ে গোটা মহকুমায় তুমুল চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখার এই শিক্ষক জয়মনি চাকমার বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তর কি ভূমিকা নেয়।