গোপাল সিং, খোয়াই, ২৯ জুন ।। বিরোধী দলগুলি যখন ১৮-কে পাখীর চোখ করে কুম্ভ নিদ্রায় নিমজ্জিত, এই সময় কিন্তু খোয়াই শহরের জনগন বর্তমান সময়ে নানারকম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। অথচ খোয়াই প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরগুলোর আমলা থেকে কামলা সবাই কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিরোধী দলগুলিকে বিভিন্নভাবে ইস্যু তোলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই যাতে জনগন ভেতর ভেতর খেপে উঠেন। দেখা যাচ্ছে আমলা-কামলারা যেভাবে যতই ভোগান্তি দিক না কেন জনগন কোন প্রতিবাদ করবে না। তাছাড়া প্রশাসন দেখভাল করার জন্য বর্তমানে যাদের উপর দায়ভার উনারা কোনও অজ্ঞাত কারনে উনাদের জনগনের উপর দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকাই পালন করছেন। একদিকে কুম্ভ নিদ্রায় বিরোধী দলগুলি, অন্যদিকে জনগন মূক-বধির এর ভূমিকা পালন করছে। অথচ বর্তমান সময়ে পৌরসভা, চিকিৎসা পরিষেবা, পূর্ত্ত দপ্তর, জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের পরিষেবা ও ভূমিকা সবটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ পরিষেবার তথৈবচ অবস্থা। দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুৎ দপ্তরের চরম উদাসীনতায় খোয়াইবাসীকে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা অবধি এবং মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা অবধি বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কোন প্রকার আগাম ঘোষনা না দিয়েই তীব্র দাবদাহের মধ্যে এক দিনেই টানা ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলনা খোয়াইয়ের মাষ্টার পাড়া, ঘোষপাড়া, অফিসটিলা, জাম্বুরা, লালছড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। প্রখর রৌদ আর তীব্র গরমে কাতর হয়ে পড়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, লাগাতর ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার পরও কারোরই কোন হেলদুল নেই। না জনগনের, না কোন আমলার। স্বভাবতই টানা ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে ইমারজেন্সী পরিষেবার আওতায় তখন শত শত লোক তীব্র দাবদাহের যন্ত্রনায় ছটপট করতে থাকেন। তবে বারবার ফোনে যোগাযোগ করে জ্বলন্ত সমস্যা সম্পর্কে বিদ্যুৎ দপ্তরকে অবগত করলেও কোন সুফল পাননি খোয়াইবাসী। সব মিলিয়ে জনমনে কিন্তু চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।