খোয়াই শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো জলের টেপ জলশূণ্য

wtrগোপাল সিং, খোয়াই, ২৬ ডিসেম্বর ৷৷ খোয়াই জেলায় উন্নয়নের জোয়ার। এই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই কিন্তু বর্তমান সরকার বারবার ক্ষমতায় আসীন। জনগনের অভিমত এমন কিছু উন্নয়ন কাজ হয়েছে যা শুধু সাক্ষী গোপাল হয়ে আছে শুধুমাত্র কিছু অবৈজ্ঞানিক কর্মচারী দ্বারা। উনারা নিজেরাই নিজেদের সবজান্তা বলে প্রচার করেন এবং ওনাদের বিকৃত মস্তিস্কের দরুন জনগনের টাকায় নির্মিত উন্নয়নের কাজগুলি তৈরী করে এবং প্রশাসনকে জনগনের সামনে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ঠেলে দেয়। এভাবে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কৌশল তারা অবলম্বন করে। খোয়াই নগর পঞ্চায়েত থাকাকালীন সময়ে তখনকার ভাইস-চেয়ারপার্সন ভারতবর্ষের কয়েকটি রাজ্যের শহরগুলি পরিদর্শন করেন এবং বেশ কিছু কাজ দেখে তিনি অভিভুত হয়ে খোয়াই শহরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহন করেন। আজ যে কাজটির কথা জনগন বলছে একটি নিদর্শন মাত্র। খোয়াই এলাকার প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্ক। মোট তিনটি বিধানসভা এলাকার জনগন আসেন সুভাষপার্কে। সবার জন্য চিন্তা-ভাবনা মাথায় রেখে অন্যান্য রাজ্য থেকে দেখে আসা পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে সুভাষপার্ক এলাকার রাস্তার পাশে জলের টেপ বসানো হয়। খুব সুন্দর পরিকল্পনা। বিভিন্ন জনবহুল এলাকা বা মার্কেটের সামনে বসানো হয় জলের টেপগুলি। যাতে করে ব্যবসায়ী থেকে পথ চলতি জনগন, প্রবীন ব্যাক্তি, স্কুল পড়ুয়ারা সুবিধা পাবে। যেন গাটের টাকা খরচ করে জল কিনে পান করতে না হয়। তাই এই সুন্দর পরিকল্পনাকে খোয়াইয়ের আপামর জনগন প্রশংসা করেছিলেন।
কিন্তু বর্তমান চিত্র এর বিপরীত। খোয়াই পুর পরিষদ গঠিত হবার পর কিছু উদ্যমী কর্মকর্তারা জলের টেপগুলি বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় মার্কেটের টেপগুলিও। এবিষয়ে কর্মকর্তারা নানাহ অভিমত প্রকাশ করেন। জনগনের মতে সবকিছুই জনগনের জন্য। অথচ পথ চলতি জনগনকে যদি একটু তৃষ্ণা মেটাতে গাটের টাকা খরচ না করে সরকারি সুবিধায় পাণীয় জল গ্রহন করার সুযোগ পায় তবে তাতে অসুবিধা কোথায়? আজ দেখা যাচ্ছে জলের টেপগুলি নুংরা-পুঁতিময় অবস্থায় ডাষ্টবিনে রূপান্তরিত হয়েছে। কোন কোন দোকানী মালামাল রেখে ব্যবসা করছেন আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে আবর্জনা ভর্ত্তি। তবে জনগনের প্রশ্ন, এতটাকা খরচ করে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজগুলি সাক্ষীগোপাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এগুলি কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? জনমনে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*