
খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্ক বাজার যে জায়গায় সেখানেই আউটপোষ্টটি অবস্থিত। রামচন্দ্রঘাট, আশারামবাড়ী, খোয়াই এবং কল্যানপুরের একটি অংশের জনগন প্রায় প্রতিদিনই আসেন সুভাষপার্ক এলাকায়। এই সুভাষপার্ক আউটপোষ্ট যা বর্তমানে নরক গুলজার। প্রায় ১৯৬০ সালে তৈরী করা ভবনটি যেখানে প্রথম ছিল পূর্ত্তদপ্তরের অফিস। তারপর সি.আই. অফিস। তারপর হয় সুভাষপার্ক আউটপোষ্ট। সেই ছোট্ট পরিসরে নিম্নমানের পাকা বাড়ীতে ট্রাফিক দপ্তর সহ পুলিশ কর্মীরা থাকেন। অফিস পরিচালনা করেন। আজ পর্যন্ত কোন সারাই বা সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যিনি দায়িত্বে থাকেন উপরি পয়সা থেকে কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে দিনরাত্র কাটান। নেই ফ্যান, নেই বসার জায়গা। ছোট ছোট রুম। নেই মালখানা। যার ফলে খালি হাতে ডিউটি করতে হয়। অথচ সব থেকে বেশী ভিআইপি এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সুভাষপার্ক আউটপোষ্টের তত্ত্বাবধানে। মানুষের সব থেকে প্রয়োজন শৌচালয়। আউটপোষ্টের নুংরা-পুঁতিময় শৌচালয়টি যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেকোন সময় বড়সর অঘটন ঘটে যেতে পারে। সুভাষপার্ক আউট পোষ্টের সাজানো যে গেইটটির ছবি দেখা যাচ্ছে সেটিও এক ঠিকেদারের দেওয়া দান। ভেতরে কঙ্কালসার অবস্থা নিয়ে চলছে সুভাষপার্ক আউটপোষ্টটি। যত আউটপোষ্ট আছে বাইজালবাড়ী, সোমবারিয়া বাজার সহ সব থানার চৌকিগুলির প্রায় একরকম দূরাবস্থাই। অথচ দিবা-রাত্র পরিশ্রম করে এবং সরকারকে ট্যাক্স আদায় করে দিচ্ছে তারাই। তারপরও কোন প্রকার নজর নেই। দিন হউক বা রাত উনারা পরিশ্রম করে সময় মতো কিছুই পান না। মদ, জুয়া, হেন্ডিং, কোরাক্স, ট্যাবলেট, গাড়ী, কাঠ, ভাঙা জিনিষের দোকান, নকল মদ তৈরীর কারখানা সহ গাড়ীর থেকে যে টাকা আমদানি হয় সব বড় কর্তারা ভাগ করে নেন। অল্প কিছু মেজর পর্যন্ত পায়। বাকিরা খালি হাত। যার ফলে এসব দেখে উনারা আজ আর আগের মতো মনযোগ দিয়ে কাজ করেন না। আজ পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। যা শুধু প্রচার পাবার জন্য। আসল পুলিশ সপ্তাহ পালন সেদিনই হবে যেদিন আসল পুলিশ কর্মিরা তাদের মর্যাদা পাবে। সেদিন সফল হবে পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন। হাতেগুনা কয়েকজন চেয়ারে বসে পুলিশ কর্মীর মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে আর পুলিশ কর্মীরা তা বসে বসে দেখবে। যার ফলে দিনে দিনে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে। এখনও সময় আছে সঠিক মূল্যায়ন করার। মৌলিক সুবিধাগুলি দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ পালন হবে সঠিক।