নতুন নোটে ৬.১০ লক্ষ জাল টাকা বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার গ্রাফিক্স ডিজাইনার সহ ২

bmজাতীয় ডেস্ক ৷৷ নোট বাতিলের পর খোদ ভারতের রাজধানীতেই জাল নোট ছাপার কারবার! নতুন ২০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ চলছিল দিল্লির আলাদা আলাদা জায়গায়। আর ছাপাটা এতটাই নিখুঁত যে আসলের সঙ্গে তফাত্ বোঝা খুবই দুষ্কর ব্যাপার। গোপন সূত্রে দিল্লি পুলিশের সাউথ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্ট টিম খবর পায় যে নজফগড় সহ বেশ কিছু এলাকায় চলছে এই ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর চক্র। শুধু তাই নয়, সেই জাল নোট বাজারে চালানোও হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে দুই পান্ডাকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন কৃষ্ণ। সে গ্রাফিক ডিজাইনারের শিক্ষাক্রম শেষ করে করেছে এবং কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। অন্যজন আশিষ। সে মোবাইল টেকনিশিয়ান ও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সরবরাহের কাজ করত। দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার, সিপিইউ, প্রিন্টার, কাটার, স্কেল সহ ৬.১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২০০০ ও ৫০০ টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশের জেরায় জানা গেছে, কৃষ্ণ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করত। কিন্তু নোট বাতিলের পর বাজারে নগদের অভাব দেখে কৃষ্ণ ও তার শাগরেদ আশিষ নকল নোট ছাপার ছক কষে। আশিষ বাজারে নকল নোট চালানোর কাজ করত। নোট বাতিলের আগেই এই দুই অভিযুক্ত ১০০ টাকার জাল নোট তৈরির চেষ্টা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। জেরায় তারা জানিয়েছে, বাজারে ইতিমধ্যেই তারা ২০ হাজার টাকার জাল নোট চালিয়েছে। জাল নোট চালানোর কাজে তাদের নিশানায় ছিল ছোট দোকানদার, সাপ্তাহিক বাজার এবং বেআইনি মদ বিক্রেতারা। এছাড়াও তারা জাল নোটে ২০ হাজার টাকা ধারও দিয়েছে। কৃষ্ণ ও আশিষের দাবি, চাকরি চলে যাওয়ার কারণে টাকার অভাব এবং পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তারা এই ধান্দা বেছে নিয়েছে। ভুলস্বীকার করে তারা ক্ষমাভিক্ষাও চেয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ওই দুজনের সাঙ্গোপাঙ্গদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। একইসঙ্গে তারা বাজারে যে জাল নোট চালিয়েছে সেগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*