দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৫ আগষ্ট ৷৷ ব্রিটিশের দু’শ বছরের রাজত্বের অবসানে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন হয়েছিল আসমুদ্র হিমাচলের। বাঁধনহারা উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল এই দেশ। স্বাধীনোত্তর ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। জাত, পাত, ধর্মের রাজনীতির অবসান হউক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞানপ্রযুক্তিতে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ট আসন লাভ করবে সেইদিন যেদিন দেশের সংহতি, সর্বভৌমত্য, মানুষের মহামিলনে অনেক বেশী মজবুত হবে – ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে গোটা ভারত নতুন করে জেগে উঠে উদার কন্ঠে গেয়ে উঠুক – “জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে …………”।
গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে ৭১তম স্বাধীনতা দিবস। রাজ্যে স্বাধীনতা দিবস পালনের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় আসাম রাইফেলস ময়দানে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আসাম রাইফেলস ময়দানকে নান্দনিক সৌন্দর্য্যে সজ্জিত করে তোলা হয়েছে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিউগলের সুরে বেজে উঠে ‘জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে’-র সুর। আসাম রাইফেলস ময়দানে প্রথাগত কুচকাওয়াজের অভিভাদন গ্রহন করেন মূখ্যমন্ত্রী। সুসজ্জিত প্যারেডের ১৮টি দলের ছন্দোবদ্ধ প্যারেডের সালামী গ্রহন করেনমূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্যারেডের তালে তালে ছন্দায়িত হয়েছে আসাম রাইফেলস ময়দানে উপস্থিত স্বাধীনতাকামী উৎসাহী জনতার। প্রধান অতিথির ভাষণে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশ তথা রাজ্যের মানুষের সাম্প্রদায়িক ঐক্য সংহতি বিনষ্টের ব্যাপারে সজাগ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতা দিবসে আসাম রাইফেলস ময়দানে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয়স্তরের নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারীকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চস্তরের আধিকারীকবৃন্দ। স্বাধীনতা দিবসে আসাম রাইফেলস ময়দানে নান্দনিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশন হয়, বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয় চিত্তাকর্ষক পিটিতে।