জেনে নিন জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারার ফলে কি কি সুবিধা পেতো মানুষ?

article370_union_territories_660_080519015504জাতীয় ডেস্ক, নয়া দিল্লী, ০৫ আগস্ট ৷৷ জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা ও ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ৩৫-এ ধারা বাতিল করল কেন্দ্রে। ১৯৪৭ সালে এই ধারার খসড়া তৈরি করেছিলেন সেখ আবদুল্লা। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। ১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ধারাটি ৩৭০-এ ঢোকানো হয় সংবিধানে। সোমাবার রাজ্যসভায় প্রবল হইট্টগোলের মধ্যে ওই দুই ধারা রদের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
৩৭০ ধারা ও ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ৩৫-এ ধারার বলে কী সুবিধা পেতেন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ?
৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসনের অধিকার। এর ফলে দেশের অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যেসব নিয়ম লাগু হয় তা জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে খাটতে নাও পারে। অর্থ, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ বিষয় ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে রাজ্যে নাক গলাতে পারতো না কেন্দ্র। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যে আর্থিক জরুরি অবস্থার ব্যবস্থা থাকলেও জম্মু ও কাশ্মীরে তা ছিল না। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণোয়ন করতে পারতো না কেন্দ্র। এই ধারা অনুযায়ী বাইরের রাজ্যের কোনও লোক জম্মু ও কাশ্মীরে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। রাজ্য সরকারই ঠিক করতো কে স্থায়ী বাসিন্দা আর কে নয়। সেই ঘোষণা করার একমাত্র অধিকার ছিল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার। কোনও সম্পত্তি কিনতে গেলও রাজ্যে থাকতে হতো অন্তত ১০ বছর। কোনও মহিলা জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে তিনি বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতেন। তার উত্তরাধিকারীরাও সম্পত্তির অধিকার পেতেন না। রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দারাই একমাত্র ভোট দিতে পারতেন, চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারতেন।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*