সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২২ মার্চ || রাজ্য ভিত্তিক কৃমিনাশক দিবসের শুভ সূচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ তেলিয়ামুড়া চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানটি হয়। এদিনের মূল অনুষ্ঠান কেন্দ্রে পৌঁছার আগে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের সাথে কথা বলে বলেন তিনি। যদিও এই কৃমিনাশক দিবসের কাজকর্ম শুরু হয়েছিল গত ১৬ই মার্চ থেকে। রবিবার রাজ্য ভিত্তিক কৃমিনাশক দিবস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, ২৯-কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডক্টর অতুল দেববর্মা, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব জে কে সিনহা, খোয়াই জেলা শাসক স্মিতা মল, খোয়াই জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, খোয়াই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মল সরকার সহ অন্যান্যরা। রাজ্য ভিত্তিক এই কৃমিনাশক অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে লোকজনদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিজ হাতে কৃমিনাশক ঔষধ উপস্থিত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ায়। এদিনেই জননী সুরক্ষা প্রকল্পে কয়েকজন প্রসূতি মায়েদের হাতে চেক এবং কয়েক জনকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, একটা রাজ্যের উন্নয়নের মাপকাঠি হিসাবে প্রথমত স্বাস্থ্য, মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে। তবেই উন্নয়নের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন, এই সরকারে তিনবছর পূর্ণ হয়েছে। এই তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে নয়টি প্রকল্পের শিলান্যাশ করেন। বিগত দিনের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, বিগত দিনে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থেকে ১২ বছরে ১৪ হাজারের উপর চাকুরী দিয়েছিল। এরমধ্যে ১০,৩২৩ দের চাকুরী খোয়া গেছে ওই সিপিআই(এম) দলের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে। কিন্তু বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের তিন বছরে সরকারি চাকরি হয়েছে নয় হাজার।