বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০৩ ডিসেম্বর || শান্তিরবাজার নামে পুর পরিষদ ও শহর হলেও শহরের কোনোপ্রকার পরিকাঠামোনেই মাংস বাজারে। বিগত অনেক বছর যাবৎ মাংস বিক্রেতাদের জন্য রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে লোকজনদের। এই ব্যাপারে প্রসাশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। শান্তিরবাজারে মাংস বিক্রেতার একেতো চড়া দামে মাংস বিক্রি করে, অপরদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ছারাই প্রতিনিয়ত মাংস বিক্রি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। মাংস বিক্রেতারা মাংস কাটার পর অবশিষ্ট অংশগুলি সঠিক জায়গায় না ফেলে যত্রতত্র ফেলে রাখে ও মাংস কাটার জন্য যে কাঠের টুকরো থাকে তা খোলা রেখে চলে যায়। এতে করে মাংস বাজারে প্রতিনিয়ত বাজারের কুকুরগুলি মাংসের অবশিষ্ট অংশ নিয়ে যত্রতত্র ছুটাছুটি করে ও মাংস কাটার কাঠের মধ্যে মুখলাগায়। মাংস বিক্রেতারা সবকিছু জেনেও কাঠের টুকরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করে সেই কাঠের টুকরার মধ্যে মাংস কেটে গ্রাহকদের দিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। এতেকরে কুকুরের মুখের লালা লাগানো মাংস পরোক্ষভাবে খেয়ে নিচ্ছে গ্রাহকরা। যার ফলে লোকজনদের রোগাক্রান্ত হবার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। বিগত দিনে শান্তির বাজারে মহকুমা শাসক হিসাবে অর্ঘ সাহা থাকাকালিন এই বিষয়ে জেনেও কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। বর্তমানে নতুন মহকুমা শাসক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন অভেদানন্দ বৈদ্য। এখন সকলের আশা মহকুমা শাসক লোকজনদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।