আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মার্চ || “যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ”। অতীতকাল থেকে ভারতবর্ষের মর্যাদাপূর্ণ সমাজব্যবস্থায় নারীদের স্থান সর্বদাই ছিলো অগ্রনী। একই দিশায় বর্তমান সমাজে মাতৃশক্তিকে আর্থসামাজিক ভাবে সশক্ত করতে কাজ করছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বিশেষ পর্ব উপলক্ষ্যে প্রায় এক পক্ষকাল ধরে আয়োজিত বিভিন্ন কার্যক্রমের সমাপ্তি লগ্নে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
এদিন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এই কার্যক্রমে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায় ও অধিকর্তা তপন কুমার দাস, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার কিরণ কুমার প্রমুখ।
এদিন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে থিম রাখা হয়েছে – সমস্ত নারী ও কন্যা শিশুর জন্য অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়ন। আমাদের রাজ্যে এবারের থিম – ভবিষ্যত প্রজন্মে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বাল্যবিবাহ রোধ করা। ত্রিপুরায়ও এই বিষয়টি বেশ উদ্বেগের। উত্তর ত্রিপুরা, দক্ষিণ ত্রিপুরা ও সিপাহীজলা জেলায় এধরণের প্রবনতা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে মহিলাদের সুরক্ষায় আটটি জেলাতে মহিলা পরিচালিত থানা চালু করা হয়েছে। পশ্চিম জেলায় দুটি সহ বাকি সব জেলায় একটি করে মহিলা থানা খোলা হয়েছে।
এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য নির্বাচিত নারীদের সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী।