পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে প্রয়োগ হল কার্গিলের রণকৌশল, নিহত বেড়ে ১৩

pthnজাতীয় ডেস্ক ।। পাঞ্জাবের পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ৫২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও গোলাগুলি থেমে নেই। সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে ঘাঁটির ভেতরে প্রচণ্ড গোলাগুলি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটির ভেতর এখনো দুইজন জঙ্গি জীবিত রয়েছে। সেখানে অভিযান চলছে। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে জঙ্গিদের ওপর ঝাঁপাল NSG ও গরুড় কমান্ডোরা। NSG, ডিফেন্স সিকিওরিটিক কোর, ছয় প্লেটুন জওয়ান, গরুড় কমান্ডো এবং পঞ্জাব পুলিসের SWAT বাহিনী। পাঠানকোটে জঙ্গি নিধনে কমান্ডো ও প্যারা কমান্ডো মিলিয়ে পাঁচ বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে যুদ্ধকালীন সমরকৌশল।
নজরদারি
নজরদারিতে লাগানো হয়েছে Mi 15, Mi 16 ও Mi 35 হেলিকপ্টার। এবং ইজরায়েলে তৈরি ড্রোন।
Mi 35 হেলিকপ্টার: মস্কোয় তৈরি এই হেলিকপ্টার দুহাজার পাঁচ থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। শত্রুকে রকেটের নিশানা করতে এর জুড়ি মেলা ভার। মেশিনগান থেকে গুলিও ছুঁড়তে পারে।
হেরন ড্রোন: ইজরায়েলে তৈরি এই ড্রোন নজরদারিতে অদ্বিতীয়। কম উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে। টানা ৫২ ঘণ্টা উড়তে পারে।
থার্মাল ইমেজিং: শরীর থেকে নির্গত তাপ নিখুঁত মাপতে পারে। তার থেকেই শত্রুর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। পাঠানকোটে প্রথম রাত থেকেই এই নজরদারি চলেছে।
ওয়াল সার্ভেলিয়েন্স রেডার: দেওয়ালের অন্যপাশে শত্রুর হৃদস্পন্দনও মেপে নিতে পারে এই রেডার।
অপারেশন
রণকৌশল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে দুটি পদ্ধতি।
আরবান ওয়ারফেয়ার: এই রণকৌশল ব্যবহার করে NSG। সাধারণ মানুষের প্রাণহানি বাঁচিয়ে জঙ্গিদের বেছে বেছে আক্রমণ করা হয়
প্রক্সি ওয়ারফেয়ার/ছায়া যুদ্ধ: ভারতীয় সেনা জওয়ানরা এই যুদ্ধ চালায়। সেনার প্রচলিত ভাষায় একে বলে কার্গিল কৌশল।GFX OUT
পাঠানকোটে নামানো হয়েছে, কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধের মোকাবিলায় অভিজ্ঞ জওয়ানদের। NSG ও কাশ্মীরি জওয়ানদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।
গ্লক ১৭/১৯ পিস্তল: সেমি অটোমেটিক পিস্তল। ছোট বন্দুক বলা বলে। একটানা বুলেট স্প্রে করতে সক্ষম। কাছাকাছি যুদ্ধে অমোঘ অস্ত্র।
হেকলার ও কোচ MP5: জার্মানে তৈরি সাব মেশিনগান। কাছাকাছি যুদ্ধে অমোঘ অস্ত্র।
AK 103-অ্যাসল্ট সিরিজের অত্যাধুনিক রাইফেল। রয়েছে আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার। রয়েছে বেয়োনেট, নাইট ভিশন টেলিস্কোপ।
ইনসাস রাইফেল: ইছাপুর গান ফ্যাক্টরিতে তৈরি সমরাস্ত্র। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে সক্ষম।
কর্নার শট: ইজরায়েলি সমরাস্ত্র। বন্দুকের নিয়মের বিপরীতে চলে। পেরিস্কোপিক ভিশন। দেওয়ালের আড়ালে থেকে গুলি চালানো যায়।
লেজার রে ও থিন রেড ডট: শত্রুকে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত লেজার রে। বিভ্রান্ত করতেও কাজে লাগে। কার্গিল যুদ্ধে এই কৌশলে শত্রুর বাঙ্কারে বোমা ফেলত বায়ুসেনা
বায়ুসেনার নিজের ঘাঁটি যখন আক্রান্ত, তখনও সেই কার্গিলের কৌশল কাজে লেগেছে। ব্যাক আপ হিসেবে মজুত AN32 বিমান এবং AVRO বিমান। দুই বিমানেই চিকিত্সার ব্যবস্থা রয়েছে। পিনাকা, হাউইত্জার, MBRL কামানও কাজে লাগানো হয়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*