নয়াদিল্লি ।। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির বোঝা লাঘব করতে তত্পর কেন্দ্রীয় সরকার। এসব ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা (মাইক্রো ইউনিট ডেভেলপমেন্ট রিফিন্যান্স এজেন্সি) যোজনা’-র সূচনা করেন মোদী। সেখানেই বিমা সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে মোদী নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব এই ধরণের ‘ক্লেইম’ বা দাবিগুলির মীমাংসা করতে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সুবিধা হয়। মোদী স্বীকার করেন, এর ফলে দেশের রাজকোষের ওপর মারাত্মক চাপ পড়বে। কিন্তু, একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোটাও প্রয়োজন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও অতিবৃষ্টি, কোথাও অনাবৃষ্টি, তো আবার কোথাও অসময়ের বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের এক বৈঠকে শস্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে এধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের মাত্রা দেড়গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। অর্থাত, যে কৃষক এতদিন ১০০ টাকা পেতেন, তিনি এবার ১৫০ টাকা পাবেন। ঠিক একইভাবে, ১ লক্ষ হবে ১.৫ লক্ষ।
শুধু তাই নয়, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ন্যূনতম সীমা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৩ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাত, এতদিন ৫০ শতাংশ শস্য নষ্ট হলেই তবে একজন কৃষক এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হতেন। কিন্তু এবার থেকে ৩৩ শতাংশ শস্য নষ্ট হলেই তিনি এই ক্ষতিপূরণের আওতায় চলে আসবেন।
পাশাপাশি মোদী এদিন দেশের সব ব্যাঙ্ককে উদ্দেশ্য করে নির্দেশ দেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য নতুন কৃষিঋণ নীতি চালু করতে হবে এবং একইসঙ্গে বিমা সংস্থাগুলিকেও নির্দেশ দেন যাতে ক্ষতিপূরণের দাবি যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ঋণদানের প্রক্রিয়াকে পুনর্গঠন করতে তিনি ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সৌজন্যে এবিপি নিউজ।