গোপাল সিং, খোয়াই, ১৩ নভেম্বর ।। খোয়াই জেলায় আজকাল প্রায় সংসারে মা লক্ষীর দয়ায় ধনবর্ষা শুরু হয়েছে। আজ ৫০০ ও ১০০০ টাকা হাতে থাকলেও অচল প্রায় নোটগুলি অধিকাংশ দোকানী নিতে চায়না। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য খুচরো টাকার অভাব নেই। এদিকে সমাজের পুরুষ মানুষগুলো হাতে টাকা থেকেও অসহায়। ব্যাঙ্ক মারফৎ ২০০০ টাকার কিছু নোট দিলেও খুচরোর অভাব। সেই সময় পরিবারের গৃহিনীরা ধণবর্ষা শুরু করেছেন অর্থ্যাৎ লক্ষীর ভান্ডার থেকে দীর্ঘদিনের জমানো খুচরো টাকার কয়েন একে একে বের হতে শুরু করেছে। এক এক করে বের হচ্ছে ১-২-৫-১০ টাকার কয়েন। তবে ১০ টাকার কয়েনই বেশী। গৃহিনীরা ব্যাথিত হৃদয়ে সংসারের দিকে চেয়ে এক এক করে ভান্ডগুলি পরিবারের কর্তার হাতে তোলে দিচ্ছেন। এভাবে কিন্তু খোয়াই বাজারে প্রায় হাজার হাজার খুচরো টাকা, যার মধ্যে ৯০ ভাগ ১০ টাকার কয়েন বাজারে আসতেই কিছুটা খুচরোর সমস্যা দূর হওয়ার কথা। কিন্তু তাতে বাদ সাধল নকল কয়েনের ছড়াছড়ি।
বর্তমানে নকলে ভাসছে সমগ্র জিনিষ। তার সাথে ধরা পড়ল নকল ১০ টাকার কয়েন। যা নিয়ে বিপাকে খোয়াইয়ের জনসাধারন। ব্যবসায়ীরা কোনটা আসল কোনটা নকল তা নিয়ে ধ্বন্দে। প্রথম যুক্তি যে ১০ টাকার কয়েনে জোড়া সহ ১০ লেখা সেটা আসল, কেউ বলছেন কয়েনের মধ্যেবর্তী স্থানে ১০ লেখা সেটি আসল। কেউ বলছেন যে কয়েনে গোলাকার জোড়া স্থানে ফুলের পাপড়ির মতো শির দাগগুলো সংখ্যায় ১০টি রয়েছে সেটি আসল আর যে কয়েনে ১৫টি রয়েছে সেটি নকল। তা নিয়ে জোর বিতর্ক সবার মধ্যে। সব রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে জেতার জন্য প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা অবধি জনগনকে জ্ঞান বিতরন করতে ব্যস্ত। অথচ জনগনকে টাকার জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য সহ ব্যাঙ্কের দুয়ারে গিয়ে হয়রানীর সহ্য করতে হচ্ছে। আর প্রশাসন নামে বস্তুটি কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় আচ্ছন্ন। এই দূর্বিসহ অবস্থার মধ্যে জনগন কোথায় যাবেন? জনমনে এনিয়েই ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।