জাতীয় ডেস্ক ।। সারা দুনিয়ায় ভোগ্যপণ্যের বাজার বেশ রমরমা। এ বাজারে বড়সড় ছাপ ফেললেন ভারতীয় যোগগুরু রামদেব। ভারতের নামি ব্র্যান্ড ইমামিকে সম্প্রতি এক্ষেত্রে পেছনে ফেলে দিয়েছে রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কেন্দ্র।
এ সংস্থার ব্যবসায় আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ২,০০০ কোটি টাকা। যোগ সাধনা এবং ভোগ্যপণ্য সামগ্রীর মধ্যে কোনো যোগাযোগ আছে বলে কেউ শোনেনি। বরং গীতায় অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে উপদেশ দেন জিতেন্দ্রিয় হতে। সকল কামনা-বাসনার ঊর্ধ্বে উঠে জীবন-যাপন করতে।
সবাই জানেন, যোগের মাধ্যমে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক বিকাশও ঘটে। ভোগ্যপণ্যের ব্যবহারে মূলত দেহজ চাহিদা মেটে। আপাত বিপরীতধর্মী এ দুই জগতে অনায়াসে বিচরণ করতে পারদর্শী যোগগুরু রামদেব। একদিকে যোগের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের তালিম দিয়ে অগণিত ভক্ত হৃদয়ে তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন।
পাশাপাশি তারই সৃষ্টি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কেন্দ্রে প্রস্তুত পণ্য গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সমস্ত প্রয়োজন মেটাচ্ছে। বর্তমানে পতঞ্জলি গ্রুপ প্রায় সব রকমের ভোগ্যপণ্য তৈরি করছে। এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে প্রসাধনী, সবই রয়েছে। ফলে পণ্য বিক্রি করে প্রতিদিন ফুলেফেঁপে উঠছে যোগাচার্যের ব্যবসা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ২০১২ সালে বার্ষিক ৪৫০ কোটির কাছাকাছি ব্যবসা করার পর ২০১৪ আর্থিক বছরে মোট ১২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে রামদেবের সংস্থা।
চলতি বছর সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০০০ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য বছরে ১৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে এরই মধ্যে পতঞ্জলির কাছে হার মেনেছে ইমামি গ্রুপ।
প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলির চেয়ে পতঞ্জলির তৈরি পণ্যর দাম তুলনায় সস্তা। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের বিক্রির হার বেশি হয়। পাশাপাশি পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বিজ্ঞাপনের পিছনেও খুব কম টাকা ঢালে রামদেবের সংস্থা।
২০০৭ সালে ব্যবসা শুরুর সময় ফ্র্যাঞ্চাইজির মারফত পণ্য বিক্রি করত সংস্থা। এরপর বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেন রামদেব। বর্তমানে সারা ভারতে পতঞ্জলির নিজস্ব শো-রুমের সংখ্যা ৪০০। ২০১৫ সালে তা বাড়িয়ে ১০০০ করাই সংস্থার লক্ষ্য।
এছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি নামি রিটেল চেনের শপিং মলেও পতঞ্জলির পণ্য বিক্রি হয়। কিছুদিনের মধ্যে অনলাইনেও মিলবে এ সমস্ত ভোগ্যপণ্য। আপাতত মেরিকো গ্রুপের বাত্সরিক ৪০০০ কোটি টাকার লেনদেনের সীমা টপকানোর স্বপ্ন দেখছে রামদেবের পতঞ্জলি।
