তেলেঙ্গানা থেকে উদ্ধার ২১২ জন শিশু শ্রমিক

childজাতীয় ডেস্ক ।। তেলেঙ্গানায় ৪ থেকে ১২ বছর বয়সী ২০০ বেশি শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করল হায়দরাবাদ পুলিস। শনিবার সকালে হায়দরাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কারখানায় কর্মরত এই শিশুদের উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিস প্রশাসন। পুলিস সূত্রে খবর, এই শিশুরা প্রত্যেকেই উত্তর প্রদেশ বা বিহার থেকে আসা।
এই শিশুরা মূলত হায়দরাবাদের আমননগরের চুড়ি ও চটি তৈরির কারখানায় কাজ করত। ২৬ জানুয়ারির আগে নিয়মমাফিক তল্লাসির সময় এই শিশু শ্রমিকদের হদিশ মেলে। শীর্ষ স্থানীয় শ্রম আধিকারিকরা অল ইন্ডিয়া রেডিও-র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ২১২ জন শিশুকে শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাদের স্থানীয় শিশু কল্যাণ আবাসনে স্থান্তরিত করা হবে।
গপ্ত ৬ মাসে এই নিয়ে দু’বার তেলেঙ্গানায় উদ্ধার করা হল বিপুল সংখ্যক শিশু শ্রমিকদের। পুলিস জানিয়েছে, এই অসহায় শিশুদের বেআইনিভাবে জোর করে কারখানাগুলোতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্থানীয় চুড়ি ও চপ্পল কারখানাগুলোতে পুলিসের রুটিন তল্লাসি শুরু হওয়ার আগেই কারখানাগুলির মালিকরা চম্পট দেয়। আমননগর থেকে ৩ মাস আগে ৬২ জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল।
স্থানীয় পুলিসের দাবি, এই শিশুরা মূলত দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পরিবার থেকে আসে। কারখানা মালিকরা একলফতে এই শিশুদের বাবা-মায়ের হাতে কিছু টাকা তুলে দিয়ে তাদের বিহার বা উত্তর প্রদেশ থেকে তেলেঙ্গানায় নিয়ে আসে। দিনে ভয়ানক রাসয়ানিকের সংস্পর্শে টানা ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয় এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের। মাস গেলে মেলে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা।
কারখানা মালিকরা একটা ছোট্ট ঘরে এক সঙ্গে ১২-১৩ জন শিশুকে কোনও রকমে গুঁজে রাখে। শীতের সময় তাদের গরম জামাকাপড় বা নিদেন পক্ষে একটা কম্বলও জোটেনা। দু বেলা দেওয়া হয় অতি নিম্ন মানের অল্প কিছু খাবার। দিনের পর দিন এই অমানবিক পরিবেশ থেকে বাঁচতে যাতে এই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গুলো পালাতে না পারে, সে জন্য কড়া পাহাড়ায় ঘিরে রাখা হয় তাদের। চারদিকে বসানো থাকে সিসিটিভি ক্যামেরা।
ছবি ও সূত্র – জি নিউজ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*