সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০১ আগস্ট || ভাগ্যের চাকা যেন ঘুরেই না, থমকে থাকে একই জায়গায়। উপজাতি গিরিবাসীদের সমস্যা একই তিমিরে। মুঙ্গিয়াকামী আর ডি ব্লকের অধীনে পূর্ব লক্ষীপুর এডিসি ভিলেজের বাদরাই পাড়া। আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের ৪৩ মাইল এলাকা থেকে কিছুটা ভিতরে অবস্থিত এই পাহাড়ি অঞ্চল বাদরাই পাড়া। প্রায় ৫৫ পরিবারের মূলত জনজাতি অংশের মানুষেরই বসবাস এই এলাকায়।
জুম চাষ করেই জীবন জীবিকা তাদের। কোন প্রকারে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে চলে সারা বছর যাবৎ। চেয়ে থাকেন সরকারি সুযোগ সুবিধার দিকে। কখন তাদের দিকে দৃষ্টি পরবে সরকারের। জঙ্গলের লতাপাতা সব্জি বিক্রি করে কোন প্রকার বাঁচার লড়াই করে চলেছেন অবিরাম।
জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা বাশের কুরুল, জুমের ফলানো সব্জি শীত কিংবা গরম জাতীয় সড়কের পাশে বসে বিক্রি করেই সংসার প্রতিপালনের সংগ্রাম করে চলেছেন। আলাপ চারিতায় এলাকার এক প্রবীণ নাগরিক জানান, তাদের দীর্ঘ বছর ধরে এভাবেই পাহাড় জঙ্গলের শাক সব্জি, বাশ কুরুল ইত্যাদি বিক্রি করে আসছেন। এডিসি প্রশাসনের রাজনৈতিক পরিবর্তন হলেও তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি তাদের। যদিও ৪৩ মাইল এলাকায় ইতিমধ্যে একটি খোলা শেড তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই বসে তারা সব্জি বিক্রি করতে পারেন।
এছাড়াও রেগার কাজ পেয়ে থাকেন। তবে তা দিয়ে সংসার প্রতিপালন করা সম্ভব হয় না। সরকার যেন তাদের কল্যানে আরও কিছু করেন সেই আশাই ব্যক্ত করেন তিনি।