গোপাল সিং, খোয়াই, ১০ মে ।। ছন-বাঁশ থেকে অট্টালিকা। মহকুমা থেকে জেলা। প্রশাসনিকভাবে প্রায় ১১০বছরের ইতিহাস বুকে নিয়ে আছে খোয়াই। ৭১ এর যুদ্ধ, ৮০’র দাঙ্গা এবং সেই সাথে সাহিত্য-সংষ্কৃতির ধারা, সবকিছুই খোয়াইয়ের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কিন্তু খোয়াই পৌর পরিষদের কিছু অতিজ্ঞানশালী কর্ম-কর্তার জন্য খোয়াই শহর অবহেলার স্বীকার। পৌর পরিষদ এলাকায় পাকা সড়ক আছে কিন্তু শহরের মানচিত্রে কোথাও রাস্তার উপর নেই ফুটপাত। বৈদ্যুতিক খুঁটি, টেলিফোনের খুঁটি এবং দোকানীদের জবরদখল সব মিলিয়ে পথ চলতি মানুষের নাভি:শ্বাস। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা অবধি জনসাধারন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। স্ট্রিট লাইটের দূরবস্থা। পৌর পরিষদ এলাকায় কুড়ি ওয়াটের বেশী বাল্ব জ্বলেনা। তার উপর খোয়াই শহরের উপর বড় মাঠ বলতে খোয়াই সরকারী দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ের মাঠকেই খোয়াইবাসী চেনে। ৭-১০ বছর আগেও যেখানে মাঠ খেলোয়ারদের দ্বারা ভরপুর থাকতো সেখানে মাঠ থাকে শুণ্য। তবে একেবারে নয়। কারন খেলোয়ারদের স্থান নিয়েছে নেশাকারবারী আর নেশাগ্রস্থ যুবরা। যাদের সকাল হয় নেশার ঘুরে, দিন কাটে মোবাইল আর ইন্টারনেটে সোশ্যাল মিডিয়ার চোখ বুলাতে এবং রাত হয় সেই নেশার ঘুরেই। বখাটে যুবকদের আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু এই মাঠে প্রায়শ:ই মিলে মদের বোতল। সারা মাঠেই কোথাও না কোথাও মদের বোতল মিলবে। তাছাড়া জেলা গ্রন্থাগার সহ মাঠ চত্বরে সন্ধ্যা হতেই দেশী মদের রমরমা ব্যবসা চলছে দীর্ঘদিন যাবত। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এবং পৌর পরিষদ সব জেনেশুনেও নীরব ভূমিকায়। খোয়াই সরকারী দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন রাস্তায়
ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তাই অতিসত্বর প্রশাসনের দৃঢ় পদক্ষেপের আশায় প্রহর গুনছেন খোয়াইবাসী।