বছর ঘুরতেই ভূলের পুনরাবৃত্তি – শিক্ষক কর্তৃক মারধরের অভিযোগ নবম শ্রেনীর ছাত্রের

khwগোপাল সিং, খোয়াই, ২৬ ফেব্রুয়ারী ।। নয়া শিক্ষানীতি এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্ত নিয়ম-কানুনকে চুলোয় দিয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রকে মারধর করলেন বলে অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুল চলাকালীন সময়েই নাকি ঐ ছাত্রকে লঘু দোষে গুরুদন্ড দিলেন শিক্ষক রক্সন দাস। ঘটনা শুক্রবার খোয়াইয়ের জাম্বুরা দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়েরই নবম শ্রেনীতে পাঠরত ছাত্র স্বরজিৎ শুক্লদাসকে ক্লাশেই মারধর করেন ঐ শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ ছাত্রের। বছর আগেও ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ সামনে এসেছিল। তারপর বিষয়টি মিডিয়াতে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি শিক্ষকের। শিক্ষকের মারে আহত ছাত্রকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে আসে ছাত্র সংগঠনের অঞ্চল সদস্যরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব দাস-এর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করে এসএফআই। প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে গোটা ঘটনায় এতটুকু পরিস্কার যে প্রথমে বিষয়টি জানতেন না খুদ বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষক প্রণব দাস। তিনি শিক্ষকের মারধরের বিষয়টি পাশের রুম থেকে শুনলেও তেমন একটা পাত্তা দেননি। কারন এমন ঘটনা শিক্ষার পরিপন্থী হলেও, ছোট-খাটো বিষয়ে টুকটাক ঘটনা হয়েই থাকে। যদিও শিক্ষকের মারধরের ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্র স্বরজিৎ শুক্লদাস কিন্তু প্রধান শিক্ষক অথবা অন্য কোন শিক্ষককে বিষয়টি জানায়নি। তাহলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গোচরে আসার আগেই ঘটনা ছাত্র সংগঠনকে জানানোর প্রয়োজন বোধ কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই। তাছাড়া ছাত্র সংগঠনের সাথে সাথেই মিডিয়া কর্মীর অকুস্থলে পৌছে যাওয়াটাও বিদ্যালয়ের নিজস্বতা এবং কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্বকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাছাড়া বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি বলেও কিছু একটা রয়ে গেছে। তাদেরকেও উপেক্ষা করা হয়েছে।
তবে শিক্ষক রক্সন দাস যেটা করেছেন সেটা বিদ্যালয়ের গৌরবের পরিপন্থী বটে। শিক্ষার আঙ্গিনাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে এবং বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার ক্ষেত্রে প্রতিকুল কাজ ক্ষতিগ্রস্থ করছে শিক্ষাকেই। শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড। সমাজ গড়ার কারিগর। শিক্ষকের হাতে লাঠি নয়, হাত উঠবে শিক্ষার জন্য, শিক্ষার্থীর হাত ধরার জন্য। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে উৎসাহিত করে তাদের আরও বেশী করে জ্ঞান আহরনের জন্য অনুপ্রেরনা যুগাতে হবে শিক্ষকদেরকেই।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*