আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। পেশোয়ারে শুক্রবার সকালে আফগান-পাক সীমান্তের কাছে ওয়ারসাক বাঁধের কাছে এক খ্রিষ্টান কলোনিতে আত্মঘাতী হামলায় চালায় চার জঙ্গির একটি দল। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৫০। সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে চার জঙ্গির। সেনা বাহিনীর এক আধিকারিকের দাবি, সেনা হেলিকপ্টারের সাহায্য নিয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাক সেনা। শুক্রবার ভোর ঠিক পাঁচটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে অস্ত্র নিয়ে পেশোয়ারের উত্তরে ওয়ারসাক বাঁধের কাছে খ্রিষ্টান কলোনির মধ্যে ঢুকে পড়ে চার আত্মঘাতী জঙ্গির একটি দল। এই ঘটনা জানার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী ও পাক সেনারা। সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিদের, দাবি সূত্রের। গুলির লড়াইয়ে আধাসামরিক বাহিনীর দুই সেনা, এক পুলিশকর্মী এবং দুই নিরাপত্তা কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, আপাতত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন এলাকার প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পাক সেনা। সম্প্রতি পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শ্রেণীর ওপর আক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে। এদিকে আজই পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে মার্ডান জেলায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৪০। এই আত্মঘাতী হামলাটি সেখানকার এক আদালত চত্বরে হয়। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের আগে আত্মঘাতী জঙ্গি একটি হাত গ্রেনেডও ফাটিয়েছিল। সকালের দিকে এই বিস্ফোরণ হওয়ায় আদালত চত্বরে বহু লোকের আনাগোনা ছিল সেসময়। এরফলে বিস্ফোরণে দশ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে প্রশসানের পক্ষ থেকে। পেশোয়ারে খ্রিষ্টান কলোনিতে হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই আক্রমণটি ঘটেছে।