সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা পণ্য বয়কটের জন্য প্রচার অভিযান, মার খাচ্ছে চিনা পণ্য

chinaআন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয়দের বিরাগভাজন হয়েছে চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানায় প্রতিবেশী দেশ। এর জেরে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা পণ্য বয়কটের জন্য প্রচার অভিযান শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সেই প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। খোদ ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, এর জেরে মার খেয়েছে চিনা পণ্যের চাহিদা। যদিও চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, উৎসবের মরশুমে ভারতে বয়কটের ডাক প্রভাব ফেলতে পারেনি। ভারতে উৎসবের মরশুমে চিনা পণ্যের বিক্রির ক্ষেত্রে নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে চিনের সরকার পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দিওয়ালি উপলক্ষ্যে বাজারে প্রতিবারই আসে চিনে তৈরি হওয়া প্রচুর জিনিসপত্র। এটা তাদের অন্যতম বিক্রির মরশুম। এবারও ভারতীয় বাজারে চিনা পণ্যের বিক্রি অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দীপাবলির জিনিসপত্র বিক্রিতে কার্যত একাধিপত্য তৈরি করেছে চিনা সংস্থাগুলি। ছোট্ট টুনিলাইট থেকে অলঙ্করণের বড় বড় জিনিসপত্র- সবই আসে চিন থেকে। চিনা ড্রাগনের হুঙ্কারে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয়েছে বহু ছোটখাটো স্থানীয় উদ্যোগ। এমনকী লক্ষ্মী, গণেশের মূর্তিও আসছে চিন থেকে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা জিনিসপত্র বয়কটের ডাকে চাপে পড়েছে চিনা সংস্থাগুলি। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) জানিয়েছে, দীপাবলি উপলক্ষ্যে যে বিপুল পরিমান চিনা পণ্যে ছেয়ে যায় বাজার, উপচে পড়ে ক্রেতাদের ভিড়, তা এবার কিছুটা কম। ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে ২০ শতাংশ বিক্রি কমেছে তাদের। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফের আপত্তি জানায় চিন। এর জেরেই চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা জিনিস বয়কটের ডাক দিয়ে চলছে প্রচার। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়নি। চিনের সংবাদমাধ্যমের দাবি, উৎসবের মরশুমে ভারতীয় বাজারে দেদারে বিকোচ্ছে চিনা দ্রব্য।মাত্র তিনদিনে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন ইন্ডিয়া, স্ন্যাপডিল এবং টাটা ক্লিক প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হয়েছে চিনা মোবাইল সংস্থা জিআওমি-র ৫ লক্ষ সেট। এছাড়া দিওয়ালি-র আলো, বাজি তো রয়েছেই।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*