গোপাল সিং, খোয়াই, ২৭ অক্টোবর ।। খোয়াই থানাধীন সুভাষপার্ক বাজারের ‘রাইমা’ মার্কেটের পেছনের দিকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বাজারের লোকসমাগমের মধ্যেই মারা গেল সুন্দর সুঠাম দেহের এক যুবক। অফিসটিলা এলাকার বাসিন্দা এই মৃত যুবকের নাম অমৃতলাল ঘোষ (টিংকু)। মৃত যুবক পেশায় একজন মৎস ব্যবসায়ী ছিল। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে খোয়াইতে বেশ কয়েজন ব্যবসায়ীর মৃত্যু হল। এরজন্য অবশ্য দায়ী অতিরিক্ত মদ্যপান। নেশার কবলে এভাবেই একে একে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। খোয়াই সুভাষপার্ক বাজারে এমন কোন নেশা সামগ্রী নেই যা ইদানিংকালে পাওয়া যাচ্ছেনা। কোরাক্সই বলুন আর দেশী মদ, হেন্ডিংয়ের মতো জুয়াই বলুন। খোয়াই সুভাষপার্কেই সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত তিনটি মদের দোকান রয়েছে। এছাড়া লাইসেন্সবিহীন মদের ঠেক রয়েছে অনেক জায়গায়। রয়েছে বেশ কিছু জুয়ার আসরও। এই নেশা ও জুয়ার করাল গ্রাস যা ধীরে ধীরে যুব সমাজকে গ্রাস করে নিচ্ছে। শহরাঞ্চলেই বিভিন্ন অলি-গলি রাস্তায় নেশা সামগ্রী সংগ্রহের ভীড় জমছে। প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে দেশী-বিদেশি মদ। সুভাষপার্ক এলাকাতেই রয়েছে এমন গলি-পথ যেখানে এলাকার মহিলারা রীতিমতো ভীতিগ্রস্থ নেশাখুরদের দৌড়াত্ব্যে। সুভাষপার্ক আউটপোষ্ট সংলগ্ন এলাকাতে সন্ধ্যা নামতেই নেশাগ্রস্থদের দৌড়াত্ব বেড়ে চলে। এতে অতীষ্ট শহরবাসী। এভাবেই পুলিশ ও প্রশাসনের উদাসীনতায় নেশা ও জুয়ার রমরমা বৃদ্ধি পাচ্ছে খোয়াই শহরেই। আর তিলে তিলে মৃত্যু হচ্ছে এক একজন সুঠাম সুন্দর যুবকের। এদের অনেকেই সাংসারিক। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। এখন ওদের সংসার কে দেখবে ? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, মাত্র একশ হাত দুরেই সুভাষপার্ক আউটপোষ্ট সামান্য কিছু মাসোহারার জন্য এসব নেশা, জুয়ার রমরমা বাণিজ্যকে বাড়বাড়ন্তের সুযোগ করে দিচ্ছে। সুভাষপার্ক বাজারে যেভাবে নানাহ সামাজিক অপরাধ বাড়ছে এখন থেকেই সাবধান না হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্ধকারে তলিয়ে যেতে পারে। কত মায়ের বুক খালি হবে তার কল্পনা মাত্রই শিউরে উঠছে খোয়াইয়ের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন।