গোপাল সিং, খোয়াই, ২৭ নভেম্বর ৷৷ ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশে সফলতা। দূর-দূরান্ত থেকে আগত কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ নিত্যদিনের যাত্রীদের জন্য নির্মিত যাত্রী বিশ্রামাগারের দূর্দশা না কাটলেও আধুনিকমানের নতুন বিশ্রামাগার নির্মান করা হল খোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে। যানবাহনের জন্য দীর্ঘ প্রতিক্ষায় রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকার অসহ্যকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এবার থেকে রাস্তার পাশেই নব নির্মিত যাত্রী বিশ্রামাগারে বসে থেকেই যানবাহনের অপেক্ষা করতে পারবে তারা। খোয়াই পৌর পরিষদের অন্তর্গত লালছড়া এলাকায় একটি যাত্রী বিশ্রামাগার দীর্ঘ বছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। নিত্যদিনের যাত্রী সহ বিশেষ করে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকত এই যাত্রী বিশ্রামাগারের পাশেই। কিন্তু বসার বা বিশ্রামের সুযোগ গ্রহন করতে পারতনা কেউই। কারন নুংরা-পুঁতিময় অবস্থায় ছিল বিশ্রামের স্থানটিই। ধারাবাহিকভাবে এই বিশ্রামাগারটির দূর্দশা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হবার পরই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই বিশ্রামাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে আধুনিকমানের একটি বিশ্রামাগার গড়ে তোলা হয় গত কিছুদিন পূর্বে। এই বিশ্রামাগারটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য্য। কল্যানপুর, বাগান বাজার, গৌরাঙ্গটিলা, রামচন্দ্রঘাট, চেবরী, সোনাতলা, মহাদেবটিলা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজে উন্নত শিক্ষা গ্রহনের জন্য ছুটে আসে। কিন্তু কলেজ করে বাড়ী ফিরবার সময় লালছড়া দিয়ে মুল সড়কে এসে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করে সবাই। কিন্তু অপেক্ষমান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগারটির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সেটি নুংরা-পুঁতিময় হয়ে থাকায় কারোর ব্যবহারেই আসছিল না। এই বিশ্রামাগারটিকে ব্যবহারের যোগ্য করে তোলার জন্য খোয়াই পুর পরিষদও দীর্ঘ বছর কোন উদ্যোগই গ্রহন করেনি। অপরদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ছাত্র সংগঠনও কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। অবশেষে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে খোয়াই পুর পরিষদ উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহন করে। আর এই উদ্যোগে খুশির আবহ ছাত্র-ছাত্রী সহ আপামর জনসাধারনের মধ্যে।