গোপাল সিং, খোয়াই, ১২ ডিসেম্বর ৷৷ খোয়াই রামচন্দ্রঘাট-আশারাম বাড়ী কৃষক থেকে গাড়ী, সরকারী এম্বুলেন্স পরিষেবা সব কিছু আটকে। ঘটনা শুধু এই ১০ দিনের নয়। খোয়াই শহরের একমাত্র অনবদ্য পেট্রোল পাম্পের জন্ম থেকেই নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। যেমন নেই পরিসেবা, তেমনি নেই মানবিক বোধ। এছাড়া কোরাক্স, ট্যাবলেট এর সাম্রাজ্য এই স্থানে। অথচ ডিজেল মেশিনটি সারাইয়ের কোন নাম গন্ধ নেই। ডিজেল মেশিনটি দীর্ঘদিন যাবত অকেজো। সর্বময় কর্তাদের জানিয়েও অনবদ্য পেট্রোল পাম্পের দৈনন্দিন সমস্যার কোন সুরাহা হচ্ছেনা। কর্মকর্তা বলে থাকেন, ‘যা খুশি করতে পারেন। যেমন খুশি অভিযোগ জানাতে পারেন। আমাদের কিছু হবেনা।’
প্রশ্ন হচ্ছে এত সাহস, এত দম্ভ কোথা থেকে পায় উনারা? যেখানে পরিসেবা নেই বরং পেট্রোলের কালো বাজারি প্রকাশ্যে চলে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রি ২০ বছর পর উনার মনে হয়েছে ত্রিপুরায় শিল্প নয়, কৃষিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কিভাবে কৃষি প্রাধান্য পাবে? কৃষকরা বর্তমানে ডিজেলের অভাবে পাওয়ার টিলার, ধান মারার মেশিন চালাতে পারছেন না। অপরদিকে খোয়াই হাসপাতালের এম্বুলেন্স পরিষেবাও বন্ধ এই ডিজেলের অভাবেই। গরীব-শ্রমিক-কৃষকদের প্রাইভেট গাড়ী ভাড়া করে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে। খোয়াই এর আশারামবাড়ী-রামচন্দ্রঘাট এলাকার কৃষকরা প্রায় ৪৫ কিমি বা ৩০ কিমি দূর থেকে আসেন।
রামচন্দ্রঘাটের পেট্রোল পাম্পেরও তথৈবচ অবস্থা। কৃষকরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে দেখেন ডিজেল নেই। ওনাদের অন্য এওসিতে চলে যেতে বলা হয়। গরীব কৃষকরা ১০ লিটার ডিজেল জোগাড় করতে প্রায় ১০০ টাকা লিটার প্রতি খরচ করতে হয়। জনগনের অভিমত রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মহাশয় এর বাস্তবমুখী হবে চিন্তা এবং দেখা দরকার কারন বর্তমান আমলারা আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে গিয়ে কাগজে পত্রে সবঠিক হ্যায় বুঝিয়ে দিয়ে আসেন। বাস্তব চিত্র যদি সরজমিনে দেখা যায় তাহলে ঠিক তার উল্টো। সমগ্র খোয়াইতে হাজার হাজার কানি জমিতে ফসল করা হচ্ছেনা। জল, বীজ ও সারের অভাব রয়েছে। যদি খোয়াই থেকে আগরতলা যাওয়ার পথেই রাস্তার দুপাশে দেখা যায় কত জমি পতিত পড়ে রয়েছে। ২-৩ ফসলের জায়গায় দায়সারাভাবে ১ ফসল করা হচ্ছে। গ্রামীন এলাকার ভেতর গেলে দেখা যায় কত জমি খালি পড়ে রয়েছে জলের অভাবে। আসলে আমলারা ভূল তথ্য দিয়ে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে না লাগিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট বানিয়ে মন্ত্রি বাহাদুরদের খুশি রাখেন। বর্তমানে কৃষকরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কৃষি দপ্তর ঠুটো জগন্নাথ। সার, বীজ, জল এবং ডিজেল সহ নানান সমস্যায় ভুগছেন কৃষকরা। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করেন না। সব কিছু সময় পেরিয়ে গেলে কৃষকের কাছে পৌছে। যা দেওয়া, না দেওয়া সমান কথা। শুধু সংগঠন ঠিক রাখাই ফাকীবাজ আমলাদের কাজ। খোয়াইয়ের কৃষককুলের দাবি সরকার এবং আমলারা বাস্তবমুখী হউক এবং ডিজেল সহ অন্যান্য সমস্যা দুর হউক। তবেই কৃষি নির্ভর হবে ত্রিপুরা। বাস্তব রূপ নেবে কৃষি বিপ্লব।