জাতীয় ডেস্ক ৷৷ ১১টি বামপন্থী সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিস-বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধ। ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার গঙ্গার দুপারে। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ কান্তি গাঙ্গুলি-বিমান বসু। ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নে ঢুকতে গিয়ে গ্রেফতার সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, আনিসুর রহমান সহ ২৪জন বাম বিধায়ক। নবান্ন অভিযান শুরুর আগেই নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করেন সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ পাঁচ বাম বিধায়ক। বিধায়ক স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে চড়ে নবান্নের নর্থ গেটের সামনে পৌঁছে যান সুজন, তন্ময়, মানস মুখোপাধ্যায়, আনিসুর রহমান ও অশোক ভট্টাচার্য। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাম বিধায়করা পৌঁছে যাওয়ায় পরিস্থিতি বুঝতে সময় লাগে পুলিশকর্মীদের। এরপরই অবশ্য পাঁচ বিধায়ককে আটক করে পুলিশ। বাম বিধায়কদের গ্রেফতারের খবর ছড়াতেই আগুনে ঘি পড়ে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট জড়ো বাম কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হেস্টিংস মোড়ে দুটি ব্যারিকেড ভাঙেন বাম কর্মীরা। বাঁশ দিয়ে তৃতীয় ব্যারিকেডটি ভাঙার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। সেইসময় ফের মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পাল্টা টিয়ার গ্যাসের শেল হাতে নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়েন বাম কর্মীরা। ফের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন পুলিশকর্মীরা। আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। মেয়ো রোডে বাঁশ নিয়ে গার্ডওয়াল ভাঙার চেষ্টা করেন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পরে বাম কর্মীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। রেহাই পাননি মহিলারাও। লাঠির ঘায়ে রক্তাক্ত হন বেশ কয়েকজন বাম কর্মী ও সমর্থক। বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার বেতড় মোড়ও। মিছিল আটকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। আহত হন এক পুলিশকর্মী। এরপরই পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আহত হন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ছোড়ে পুলিশ।