করোনা উপসর্গ গোপন, পরিবার থেকে করেনি চিকিৎসা, মৃত্যুর পর রিপোর্ট পজেটভ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

crসাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০৮ আগষ্ট ৷। মরদেহ নিয়ে বাড়িতে সৎকারের মানুষ নেই। ভয় ও আশংকা করোনা পোজেটিভ হয়ে মারা গেছেন। শেষ পর্যন্ত পুরপরিষদ ও মহকুমা হাসপাতালের তৎপরতায় মৃত দেহ টেস্ট করানোর পর সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানাধীন করইলং এলাকার নিবাসী মৃত উমেশ চন্দ্র সাহার ছেলে মৃনাল কান্তি সাহা (পান্না)। বয়স ৪৪ বছর। শুক্রবার রাতে কোন এক সময় মারা যান। সকালে খবর এলাকায় চাউর হতেই বাদে বিপত্তি। এলাকাবাসী সুত্রে খবর, মৃতব্যক্তি গত ১০-১২ দিন ধরে জ্বর সর্দি কাশি সহ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। অথচ কোনও ডাক্তারের কাছেও যায়নি। পরিবারের লোকজন অসুস্থ ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন টুকুও মনে করেনি, হাসপাতালেও যায়নি। এলাকাবাসীর আশঙ্কা মৃত ব্যক্তি করোনার কারনে মারা গেছেন।
এই খবর যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে এবং তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদে। খবর পেয়ে পরে হাসপাতাল থেকে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের পৌর পিতা ঘটনাস্থলে আসেন। এসে মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জানা যায়, মরদেহ নিয়ে করোনা টেস্ট করা হলে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে গেলে উনার শরীরে পাওয়া গেছে করুণার জীবাণু, আর সেই কারণেই মারা গেছেন তিনি। এমনই জানিয়েছেন ওই মৃত ব্যক্তির নিকট আত্মীয়।
এখন এলাকাবাসী সহ পৌর পিতার প্রশ্ন হল বিগত দিনে সরকারের তরফ থেকে বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মী ও আশা কর্মীদের যে সার্ভে করানো হয়েছিল তখন মৃতব্যক্তি কেন তথ্য গোপন করলেন? পরিবারের সদস্যইরা কেন জানাল না?
অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির বড় ভাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় অনেকটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপকৌশল চালাতে থাকে। তিনি বলতে থাকেন যখন বাড়ি বাড়ি আশা কর্মী ও সার্ভে টিম সার্ভে করতে এসেছিল তখন উনার ছোট ভাইয়ের শরীরে কোন প্রকার উপসর্গ ছিলনা।
জানা যায়, মৃতব্যক্তির তেলিয়ামুড়া মুল বাজারে মুদির দোকান আছে।আর সেই দোকানে প্রতিদিন ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। মৃতব্যক্তির করোনা পোজেটিভ হওয়ায় ওনার সংস্পর্শে আশা সাধারণ মানুষ জনের সনাক্ত করা যাবে কিনা। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*